নারীকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় যুবক গ্রেপ্তার
মাদারীপুরের শিবচরে চাঞ্চল্যকর রানু বেগম (৬০) নামের এক বৃদ্ধাকে হত্যার ঘটনায় কাজী রাসেল মাহমুদ ওরফে সবুজ (৩০) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শিবচর উপজেলার পাচ্চর এলাকার চরকান্দি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
কাজী রাসেল মাহমুদ ঢাকার ইব্রাহিমপুর থানার পশ্চিম শেওড়া পাড়ার মৃত কাজী কেরামত আলীর ছেলে। তিনি বর্তমানে শিবচরের যাদুয়রচর এলাকায় বসবাস করেন। এর আগে তিনি নিহত রানু বেগমের বাড়িতে ভাড়া ছিলেন।
আজ শুক্রবার সকালে র্যাব-৮, সিপিসি-৩, মাদারীপুর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার, পুলিশ সুপার মীর মনির হোসেন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
র্যাব জানায়, গত ৯ মাস পূর্বে রাসেল মাহমুদ ওরফে সবুজ বৃদ্ধা রানু বেগমের বাড়ির একটি কক্ষ ভাড়া নেন। এরপর রানু বেগমের ঘরে চুরির ঘটনা ঘটলে ভাড়াটিয়ারা রাসেলকে সন্দেহ করতে শুরু করে। এরপর থেকে বিষয়টি নিয়ে মনমালিন্য সৃষ্টি হয় উভয়ের মধ্যে। একপর্যায়ে রাসেল মাহমুরের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ তৈরি হয়। সেই থেকে গত ২১ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় রানু বেগমের রান্না ঘরে গোপনে অবস্থান নেয় রাসেল। ওই দিন রাত ১১টার দিকে ঘরে ঢুকে হাতে ও গলায় আঘাত করে হত্যা করে রানু বেগমকে।
ঘটনার একদিন পর ২২ সেপ্টেম্বর দুপুরে উপজেলার উমেদপুর ইউনিয়নের কাঁচিকাটা এলাকায় নিজ ঘর থেকে রানু বেগম নামের ওই মহিলার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। রানু বেগমের এক ছেলে চাকুরির সুবাধে পরিবার নিয়ে ঢাকায় থাকেন। ঘটনার দিন সকালে ফোনে তার মাকে না পেয়ে প্রতিবেশীদের জানালে তারা এসে বাইরে থেকে ঘর তালাবদ্ধ দেখেন এবং জানালা দিয়ে রানু বেগমের রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন।
পরে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। এই ঘটনায় নিহতের ছেলে খোকন হাওলাদার বাদী হয়ে শিবচর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। ওই মামালায় রাসেল মাহমুদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে বিষয়টি স্বীকার করেছেন রাসেল মাহমুদ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মাদারীপুর র্যাব-৮ এর কোম্পানি কমান্ডার মীর মনির হোসেন বলেন, ‘মামলার পরই র্যাব ছায়া তদন্ত শুরু করে। গোপন সংবাদ ও তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে হত্যাকাণ্ডে জড়িত রাসেল মাহমুদ নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে বিষয়টি তীব্র ক্ষোভ থেকে হত্যা সংঘটিত হয়েছে বলে জানা যায়।’