গাজায় গণহত্যা থামাতে পারেন একমাত্র ট্রাম্পই

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০০:০০
শেয়ার :
গাজায় গণহত্যা থামাতে পারেন একমাত্র ট্রাম্পই

সাবেক সৌদি গোয়েন্দাপ্রধান প্রিন্স তুর্কি আল ফয়সাল বলেছেন, ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের ‘গণহত্যামূলক যুদ্ধ’ বন্ধে চাপ প্রয়োগ করতে সক্ষম একমাত্র মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আল আরাবিয়া ইংলিশকে সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, হামাসের ২০২৩ সালের অক্টোবরে চালানো হামলার পর গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান ‘পরিষ্কারভাবে গণহত্যার উদাহরণ।’

প্রিন্স তুর্কি সম্প্রতি ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির ঢেউকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এসব দেশ যেন স্বীকৃত ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতা রক্ষায় কার্যকর উদ্যোগ নেয়। তিনি আরও বলেন, সৌদি আরব ও ফ্রান্স কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় নেতৃত্ব দিলেও এখন যুক্তরাষ্ট্রকেই এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত করতে হবে, কারণ ইসরায়েলকে পথ পরিবর্তনে বাধ্য করার মতো শক্তি কেবল ওয়াশিংটনের হাতেই আছে।

ইসরায়েলের যে অভিযোগ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়া মানে হামাসকে পুরস্কৃত করা- এ বিষয়ে প্রিন্স তুর্কি দ্বিমত পোষণ করেন। তিনি বলেন, হামাসের আসল পুরস্কার আসে ইসরায়েলের নিপীড়ন থেকে। ইসরায়েল যখন ফিলিস্তিনিদের অধিকার কেড়ে নেয় ও তাদের দমন করে, তখনই হামাস জনপ্রিয়তা পায়। রাষ্ট্র স্বীকৃতি নয়, বরং ইসরায়েলি কর্মকা-ই হামাসের বড় পুরস্কার। তিনি আরও বলেন, ৬০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের ভূমি দখল করে আছে। এটিই ইসরায়েলের ঘোষিত নীতি।

সম্প্রতি দোহায় হামাস নেতাদের লক্ষ্য করে চালানো ইসরায়েলি বিমান হামলার বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে প্রিন্স তুর্কি বলেন, এতে তিনি মোটেই বিস্মিত নন। তার ভাষায়, এটাই ইসরায়েলের আসল চেহারা- এই অঞ্চলে শান্তির সম্ভাব্য অংশীদার হিসেবে এক বিশ্বাসঘাতক ও অবিশ্বস্ত রাষ্ট্র। ইতিহাস জুড়েই ইসরায়েল এই অঞ্চলে বিশ্বাসঘাতকতা করে আসছে।