জবই ও অন্যান্য বিল উন্নয়নে প্রকল্প গ্রহণ

আব্দুল্লাহ কাফি
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০০:০০
শেয়ার :
জবই ও অন্যান্য বিল উন্নয়নে প্রকল্প গ্রহণ

দেশের মোট কৃষিজ আয়ের ২২.১৪ শতাংশ মৎস্য উপখাত থেকে আসে, যা দেশের রপ্তানি আয়ের উল্লেখযোগ্য অংশ। নওগাঁ জেলার সাপাহার ও মান্দা উপজেলায় বিস্তৃত জবই বিল, বিল মান্দা, বিল উৎরাইল, বিল চক কসবা; রাজশাহী জেলার মোহনপুর উপজেলার কুমারী বিল এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর উপজেলার বিল সিংগাবাদ পাথার ইত্যাদি বিলের ভূমিকা দেশীয় প্রজাতির মাছ, জলজসম্পদ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষা এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ।

সমাজভিত্তিক ও দায়িত্বশীল ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে উৎপাদনশীলতা বাড়াতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এটি বাস্তবায়নের মেয়াদ চলতি বছর জুলাই থেকে ২০২৯ সালের জুন। ‘জবই বিল ও পার্শ্ববর্তী এলাকার বিলসমূহে মৎস্যসম্পদ ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক এ প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে সাড়ে ৩৮ কোটি টাকা। প্রকল্পটি মৎস্য অধিদপ্তরের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে উপজেলা কমিটি ও জেলেদের অংশগ্রহণে বাস্তবায়িত হলে এলাকায় মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণ, দারিদ্র্য দূরীকরণ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে এবং সুফলভোগী জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

প্রকল্পের মূল কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে ১০৭টি ব্যাচে মোট ২ হাজার ৬৬০ জন সুফলভোগী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া, ৬৫টি সেমিনার-কর্মশালা, সভা-ক্যাম্পেইন ও অভিজ্ঞতা বিনিময় সভার আয়োজন; ১৬টি নো ফিশিং জোন-অভয়াশ্রম এবং ৩১টি বিল নার্সারি স্থাপন; ১৮টি মৎস্য অভয়াশ্রম মেরামত; ৭২ মেট্রিক টন কার্প ও দেশীয় প্রজাতির পোনা মাছ অবমুক্ত করা; ফিশ পাসের জন্য আয়রন-মেস নেট স্থাপন; ৯৬ হেক্টর বিল খনন/পুনঃখনন; জিআইএস-ভিত্তিক বিলের বিস্তৃতি চিহ্নিত করা; ৭টি দেশীয় জলযান ক্রয় ও বিতরণ।

গত ১২ মে প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সিদ্ধান্ত হয়, পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি, পানিসম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের বন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উইংয়ের অতিরিক্ত সচিবের সভাপতিত্বে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, আইএমইডি এবং মৎস্য অধিদপ্তরের সমন্বয়ে গঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি প্রকল্প এলাকা সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রতিবেদন দেবে। ওই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে প্রস্তাবিত ডিপিপি পুনর্গঠন করে পুনরায় পরিকল্পনা কমিশনে পাঠাতে হবে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উইংয়ের অতিরিক্ত সচিবের সভাপতিত্বে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, আইএমইডি ও মৎস্য অধিদপ্তরের প্রতিনিধি নিয়ে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি গত ২৯-৩০ মে প্রস্তাবিত প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করে বেশকিছু সুপারিশ করে।