জাতীয় নাট্যশালার মূল হলে প্রাচ্যনাটের ‘খোয়াবনামা’
প্রখ্যাত সাহিত্যিক আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের সাড়া জাগানো উপন্যাস ‘খোয়াবনামা’ অবলম্বনে মঞ্চনাটক করেছেন জনপ্রিয় নাট্যদল প্রাচ্যনাট। এটি এই দলের ৩৭তম প্রযোজনা।
মো. শওকত হোসেন সজিবের নাট্যরূপ ও কাজী তৌফিকুল ইসলাম ইমনের নির্দেশনায় নাটকটি আগামী শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মূল হলে মঞ্চস্থ হবে।
‘খোয়াবনামা’ উপন্যাসটি মূলত দেশভাগের (১৯৪৭) এর কিছু পূর্ব এবং পরবর্তী সময়ের ঘটনা নিয়ে রচিত। এর কাহিনি বগুড়া জেলার একটি ক্ষুদ্র ও প্রত্যন্ত জনপদ নিয়ে বিস্তৃত। বগুড়া জেলার বাঙালি নদীর আশেপাশে কিছু গ্রামের মানুষের কাহিনির মাধ্যমে বাংলাদেশের ইতিহাসের একটা অংশকে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
ওটিটি প্ল্যাটফরম আমার জন্য বেশ লাকি
এই ভূখন্ডে সামাজিক মিথস্ক্রিয়ার বিভিন্ন স্তরে থাকা মানুষের যাপিত জীবনের এক ছবি আঁকা হয়েছে এই উপন্যাসে। নির্দেশক হিসেবে মঞ্চে উপস্থাপন করতে চেয়েছি সাধারণ মানুষের জীবন যাপন, শ্রেণী-বৈষম্য ও দ্বন্দ্ব, অসহায়ত্ব, ক্ষোভ, কাম, ধর্মীয় ও জাতিগত বিদ্বেষ, তেভাগা আন্দোলন, দেশভাগের ডামাডোল, গ্রামীণ জনপদের বিশ্বাস কিংবা কুসংস্কার। গ্রাম বাংলার আনাচে কানাচে ছড়িয়ে থাকা অসংখ্য নাম না জানা মানুষের না বলা গল্প।
যে খোয়াবনামা একদিন বেহাত হয়ে গিয়েছে আমাদের হাত থেকে তারপরও খোয়াবই এগিয়ে নেয় মানুষকে। খোয়াব দেখা মানুষই নমস্য।
নির্মাতা বলেন, ‘প্রাচ্যনাট তার স্বপ্নলগ্ন থেকেই গতানুগতিক গড্ডালিকায় গা ভাসাতে চায়নি। প্রতিনিয়ত তারা ভেঙ্গেচুরে নিজেদেরকে তৈরি করেছে নতুন করে নতুন ভাবনা নিয়ে। বিশ বছর শেষ করে পঁচিশ বছরের প্রাক্কালে একটা বিশাল প্রেক্ষাপটে কিছু করার প্রয়াসে ‘খোয়াবনামা’ নিয়ে কাজ করার তাগিদ তৈরি হয়।
আরও পড়ুন:
নানাকে নিয়ে পরীর আবেগঘন পোস্ট
এতে অভিনয় করেছেন সাখাওয়াত হোসেন রিজভী, মনিরুল ইসলাম রুবেল, সাহানা সুমি, পারভিন পারু, মো. সোহেল রানা, মিতুল রহমান, তানজি কুন, সাইদুর রহমান শাহীন, শ্রাবণ শামীম প্রমুখ।
গানের সুর: রাহুল আনন্দ, সংগীত: নীল কামরুল, কোরিওগ্রাফি: স্নাতা শাহরিন, মঞ্চ: এবি এস জেম, আলোক ভাবনা: ঠান্ডু রায়হান।
আরও পড়ুন:
‘এভাবে বিয়ে করা নাকি অর্থহীন’