বিদ্যালয়ে মাদকাসক্ত যুবকের হামলা, আহত ১৫ শিক্ষক-শিক্ষার্থী
লক্ষ্মীপুর পৌরসভার উত্তর মজুপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান চলাকালে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়। এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ অন্তত ১৫ জন আহত হন।
গতকাল বুধবার সকালে এ হামলার ঘটে। পরে দুপুরে অভিযুক্ত মাদকাসক্ত সুমন হোসেনকে আটক করে পুলিশ।
শিক্ষক ও এলাকাবাসীর ভাষ্যমতে, কয়েক বছর ধরে সুমন নিয়মিত নেশা করেন। তিনি প্রায়ই পথিমধ্যে বিভিন্ন শিক্ষার্থীদের উত্ত্যক্ত করেন। কারণে-অকারণে লোকজনকে মারধরও করে। এখন কোনো কারণ ছাড়াই বিদ্যালয়ে হামলা-ভাঙচুর চালিয়েছেন।
জানা গেছে, সুমন উত্তর মজুপুর এলাকার গনি মিয়া মেস্তুরি বাড়ির ফয়েজ আহম্মেদের ছেলে।
হামলার ঘটনায় দুপুরে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাসিনা আক্তার বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। এতে আটক সুমনকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ জানায়, ঘটনার সময় বিদ্যালয়ে পাঠদান চলছিল। নেশাগ্রস্থ অবস্থায় বিদ্যালয়ের বাথরুমের কথা বলে সুমন ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করেন। এসময় শিক্ষার্থীরা তাকে নিষেধ করে। এতে সুমন ক্ষিপ্ত হয়ে লাইব্রেরিতে এসে গালমন্দ করেন। একপর্যায়ে শিক্ষক শারমিন আক্তার সেতারা পারভিন, শিক্ষার্থী রেদোয়ান হাছান রুপম, মো. ইয়াছিন ও অনুশ্রী রানী দাসসহ অন্তত ১৫ জনকে পিটিয়ে আহত করেন তিনি। এসময় শিক্ষার্থীদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে এসে সুমনকে আটক করেন। পরবর্তীতে আহতরা সদর হাসপাতাল ও স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছেন।
তবে হামলার বিষয়ে সুমন হোসেন ও তার পরিবারের কারও বক্তব্য জানা যায়নি।
প্রধান শিক্ষক হাসিনা আক্তার বলেন, ‘মাদকাসক্ত এক যুবক হঠাৎ এসে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। তাকে বাধা দিতে গেলে শিক্ষক ও অন্য শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। সে বিদ্যালয়ের দরজা-জানালা ভাঙচুর করেছে। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। বিষয়টি ইউএনওকেও জানিয়েছি।’
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল মোন্নাফ বলেন, ‘অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি মাদকাসক্ত বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে কী কারণে এ হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়েছে তা তদন্ত করা হচ্ছে।’