‘হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়ায় ভারত বিদ্বেষ বাড়ছে’

সিলেট ব্যুরো
২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:৫৫
শেয়ার :
‘হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়ায় ভারত বিদ্বেষ বাড়ছে’

পলাতক শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়ার কারণেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে ভারত বিদ্বেষ ক্রমান্বয়ে বাড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ সংগঠক সারজিস আলম। 

গতকাল বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে সিলেট নগরীর একটি রেস্টুরেন্টের হলরুমে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সিলেট জেলা ও মহানগরের উদ্যোগে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

সারজিস বলেন, ‘খুনি হাসিনা ভারতে অবস্থান করায় বাংলাদেশের জনগণ ভারতের নাম শুনলেই ভারতবিরোধী মনোভাব পোষণ করে।’ 

তিনি বলেন, ‘আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির বদলে চলতি বছরের ডিসেম্বরেও নির্বাচন মেনে নেওয়া হবে, তবে তার আগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ জুলাই আন্দোলনে গণহত্যাকারী অন্তত ২৫ জনের দৃশ্যমান বিচার শেষ হতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘দেশের মানুষের মতো এনসিপিও অর্ন্তবর্তী সরকারের কাছে জানতে চায়, তারা এক বছরে কী সংস্কার করতে পেরেছে। ছাত্র-জনতার রক্তের ওপর দিয়ে তারা দায়িত্বগ্রহণ করলেও সেই দায়িত্ব পালন করতে পারছেন না। নিজেদের কার্যকলাপের জন্য অর্ন্তবর্তী সরকারকে নিয়ে জনমনে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে।’

তিনি যোগ করেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান শুধুমাত্র একটি নির্বাচনের জন্য ছিল না। সিস্টেমের করাপশন ও মৌলিক সংস্কারের জন্য ছিল এই জুলাই গণঅভ্যুত্থান। জুলাই সনদের যেন আইনি ভিত্তি থাকে এবং জুলাই সনদে যে সংস্কারের কথা বলা আছে, সেগুলো যেন সংস্কার করা হয়।’ 

নিউইয়র্কে এনসিপি সদস্যসচিব আখতার হোসেনকে লক্ষ্য করে ডিম নিক্ষেপ ও লাঞ্ছিত করার ঘটনা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করেছে উল্লেখ করে সারজিস বলেন, ‘এ বিষয়ে সরকারের কোনো পদক্ষেপ না নেওয়া সরকারের দুর্বলতাকে প্রকাশ করে। এ ঘটনার সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কেউ জড়িত থাকলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’

এনসিপিকে শাপলা প্রতীক না দেওয়ার বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সদিচ্ছার ঘাটতি রয়েছে বলেও দাবি করে তিনি বলেন, ‘এটি কোনো ব্যক্তি, দল বা প্রতিষ্ঠানের প্রভাবিত সিদ্ধান্ত। তারা যদি এমন অন্যায় আমাদের ওপর চাপিয়ে দিতে চায়, তবে আমরা তা রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করব।’

দ্রুতই সুন্দর আলোচনার মাধ্যমে গণঅধিকার পরিষদ ও এনসিপির মধ্যে এলায়েন্স গড়ে ওঠবে বলেও জানান সারজিস আলম।