নাসার গ্রুপের ১৬ কারখানা বন্ধ, শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষ

সাভার প্রতিনিধি
২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৩৬
শেয়ার :
নাসার গ্রুপের ১৬ কারখানা বন্ধ, শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষ

আশুলিয়ায় নাসা গ্রুপের ১৬টি কারখানা অবশেষে স্থায়ীভাবে বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। বকেয়া বেতন পরিশোধ ও কারখানা চালুর দাবিতে শ্রমিকরা বিক্ষোভ করে সড়কে অবস্থান নিলে টিয়ার শেল ও জল কামান ব্যবহার করে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ ।

জানা গেছে, পুলিশের লাঠিচার্জের বিপরীতে শ্রমিকদের ইট পাটকেল নিক্ষেপে ৪ পুলিশসহ আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১৫ জন।

আজ বুধবার সকাল থেকেই শ্রমিকরা তাদের পাওনা পরিশোধের দাবিতে বাইপাইল-আব্দুল্লাহপুর সড়ক অবরোধ করেন। এসময় শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দিলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে তাদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। 

এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শিল্প পুলিশ ১ এর পরিচালক মমিনুল ইসলাম ভূঁইয়া।

কারখানা স্থায়ী বন্ধ সিদ্ধান্তে নাসার গ্রুপের রপ্তানি মুক্তি তৈরি পোশাক কারখানা নাসা বেসিক, নাসা গ্লোবাল ও নাসা হাইটেকের ২৭ হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছেন। এ ঘটনার জেরে গোটা শিল্পাঞ্চল জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে উত্তেজনা।

উল্লেখ্য, রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর গত বছরের ২ অক্টোবর রাজধানীর গুলশান থেকে গ্রেপ্তার হয়ে বর্তমান কারাগারে রয়েছেন নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার।

এরপর থেকেই তার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোতে অসন্তোষ চলছিল। তবে, এর মাঝে দফায় দফায় কারখানা বন্ধের নোটিশ দিয়ে এক পর্যায়ে স্থায়ীভাবে গ্ৰুপের মালিকাধীন কারখানাগুলো বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। সর্বশেষ শ্রমিকের পাওনা পরিশোধে সম্পত্তি বিক্রি করতে রাজি হয় নাসা গ্রুপ। 

গত ২০ সেপ্টেম্বর শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপে কারাগারে থেকেই সম্পত্তি বিক্রির পাওয়ার অব অ্যাটর্নি–বিষয়ক নথিতে নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার স্বাক্ষর করেন বলে জানা যায়।

এর ধারাবাহিকতায় চুক্তি অনুযায়ী শ্রমিকদের আগস্ট মাসের বেতন ১৫ অক্টোবরের মধ্যে, সেপ্টেম্বর মাসের বেতন ৩০ অক্টোবরের মধ্যে এবং অন্যান্য পাওনা ৩০ নভেম্বরের মধ্যে পরিশোধ করার কথা জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এরই মধ্যে কারখানা স্থায়ী বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন শ্রমিকরা।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শিল্পাঞ্চলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।