ন্যাটো অঞ্চলে অনুপ্রবেশ /
প্রস্তুতি নিচ্ছে জার্মান সশস্ত্র বাহিনী
ন্যাটো ও রাশিয়ার মধ্যে যদি বড় ধরনের সংঘাত ঘটে তবে দিনে প্রায় ১ হাজার আহত সৈন্যকে কিভাবে চিকিৎসা দেওয়া হবে তার পরিকল্পনা করছে জার্মান সশস্ত্র বাহিনী।
জার্মানির সার্জন জেনারেল রালফ হফম্যান বলেন, ‘একটি সম্ভাব্য সংঘাতের সময় আহত সৈন্যের সংখ্যা নির্ভর করবে যুদ্ধের তীব্রতা এবং কোন সামরিক ইউনিটের সঙ্গে তারা যুক্ত রয়েছে তার উপর। বাস্তবে আমরা দিনে প্রায় ১ হাজার আহত সৈন্যের কথা বলছি।’
রাশিয়ার ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার আক্রমণের পর ইউরোপীয় সেনাবাহিনী সহ তাদের চিকিৎসা সেবা, সম্ভাব্য সংঘাতের জন্য প্রস্তুতি বাড়িয়েছে। এটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের সবচেয়ে বড় সংঘাত।
আরও পড়ুন:
রোগীর পেটে জীবন্ত মাছি!
হফম্যান আরও বলেন, ‘ইউক্রেনে যুদ্ধের প্রকৃতি নাটকীয়ভাবে পরিবর্তিত হয়েছে। গোলা ও বন্দুকের আঘাতের বদলে এখন ড্রোন ও লুপিং মুনিশনের কারণে বিস্ফোরণ ও দগ্ধ হওয়ার ঘটনা বেশি দেখা যাচ্ছে।’
ইউক্রেনীয় সৈন্যরা ফ্রন্টলাইনের দুই পাশে প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকাকে “কিল জোন” বলে অভিহিত করেছেন, কারণ উভয় পক্ষের রিমোট-পাইলটেড ড্রোন দ্রুত লক্ষ্য শনাক্ত এবং ধ্বংস করতে সক্ষম।
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস
ন্যাটোর পক্ষ থেকে দীর্ঘদিন ধরেই সতর্ক করা হয়েছে যে- মস্কো ২০২৯ থেকে আক্রমণ চালাতে সক্ষম হতে পারে। যদিও মস্কো এ ধরনের কোনো যুদ্ধের প্রস্তুতির কথা অস্বীকার করেছে। তবে সম্প্রতি ন্যাটো অঞ্চলে রাশিয়ার বিমান ও ড্রোনের অনুপ্রবেশ উত্তেজনা বাড়িয়েছে।