শিক্ষার্থীদের বার্ষিক মূল্যায়ন জরিপে ইবি উপাচার্য পেলেন ২.৪৫
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ শিক্ষার্থীদের বার্ষিক জরিপে চরমভাবে অকৃতকার্য হয়েছেন। ‘ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কার আন্দোলন’ আয়োজিত এই জরিপে ১০ নম্বরের মধ্যে গড়ে পেয়েছেন ২.৪৫। ফলে তিনি ‘খারাপ’ ক্যাটাগরিতে স্থান পেয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার দুপুর দেড়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডায়েনা চত্বরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
আয়োজকরা জানান, গত ১৮ থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১ হাজার ৩১২ শিক্ষার্থী এতে অংশ নেন। এর মধ্যে আবাসিক ছিলেন ৮৭৬ জন এবং অনাবাসিক ৪৩৬ জন। শিক্ষাবর্ষভিত্তিক অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সর্বাধিক ছিলেন ২০২০–২১ শিক্ষাবর্ষের ৩৪৫ জন, আর সবচেয়ে কম ছিলেন ২০১৭–১৮ শিক্ষাবর্ষের মাত্র ৬ জন। জরিপের মার্কিং স্কেল ছিল ১–৩ (খারাপ), ৪–৬ (মোটামুটি), ৭–৮ (ভালো) এবং ৯–১০ (অতি ভালো)।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, দায়িত্ব নেওয়ার পর গত এক বছরে উপাচার্যের কার্যক্রম আশানুরূপ হয়নি। একাডেমিক ও প্রশাসনিক ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য কোনো উন্নতি ঘটেনি। তাদের ভাষায়, ‘আশ্বাস মিলেছে অনেক, কিন্তু বাস্তবায়ন হয়নি।’ তারা জানান, ৯ সেপ্টেম্বর শিক্ষার্থীরা ১৫ দফা দাবি জানিয়েছিল। কিন্তু অগ্রগতি না ঘটিয়ে প্রশাসন উল্টো সভা-সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
জরিপে উপাচার্যের ভূমিকা মূল্যায়ন করা হয় সেশনজট নিরসন, ক্লাস-পরীক্ষা তদারকি, শিক্ষক সংকট সমাধান, সাজিদ আব্দুল্লাহ হত্যার বিচার, ক্যাম্পাস নিরাপত্তা, ইকসু গঠন, আবাসিক হলের খাবারের মান, গবেষণা বাজেট বৃদ্ধি, মেডিকেল সেবা, নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা, কমনরুম স্থাপন ও পরিবহন সংকট নিরসন ইত্যাদি বিষয়ে। এসব ক্ষেত্রেই শিক্ষার্থীরা অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে একজন বলেন, ‘উপাচার্য যদি দায়িত্ব পালনে অক্ষম হন, তাহলে দায়িত্ব রাখারও প্রয়োজন নেই। শিক্ষার্থীদের স্বার্থে কাজ করলে তিনি উপযুক্ত, নইলে নয়। আমরা আশা করি, তিনি শিক্ষার্থীদের ১৫ দফা দাবি দ্রুত মেনে নেবেন।’
আরও বলেন, ‘প্রশাসন যদি মনে করে আমাদের কার্যক্রম এখানেই থেমে যাবে, তবে তারা ভুল করছে। শিক্ষার্থীদের দাবি আদায়ে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। উপাচার্যকে আমরা বাধ্য করবো আমাদের দাবি বাস্তবায়নে।’