কমছে দেশের কৃষিজমি, হুমকিতে খাদ্যনিরাপত্তা

আবু হেনা তাসমেরী
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০০:০০
শেয়ার :
কমছে দেশের কৃষিজমি, হুমকিতে খাদ্যনিরাপত্তা

বাংলাদেশ একসময় খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার গৌরব অর্জন করেছিল কৃষকের ঘামে। অথচ সেই আবাদি জমি এখন দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে। প্রতিদিন গ্রামাঞ্চলের উর্বর জমি বিক্রি হচ্ছে আবাসন কোম্পানির কাছে, সড়ক নির্মাণে ভরাট হচ্ছে মাঠ, চলে যাচ্ছে শিল্প প্রকল্পে। সরকারি পরিসংখ্যান বলছে- প্রতিবছর প্রায় ৭০ হাজার হেক্টর আবাদি জমি অকৃষি খাতে চলে যাচ্ছে। অর্থাৎ, প্রতিদিনই হারাচ্ছি প্রায় ২১৯ হেক্টর জমি। এভাবে চলতে থাকলে আগামী প্রজন্মের জন্য খাদ্য নিরাপত্তা বড় ধরনের সংকটে পড়বে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।

স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে আবাদি জমি ছিল প্রায় ২ কোটি ১৭ লাখ হেক্টর। জনসংখ্যা তখন ছিল মাত্র ৭ কোটি ৯০ লাখ। ২০০০ সালে জমির পরিমাণ কমে দাঁড়ায় ৮০ লাখ ১৮ হাজার হেক্টর, আর জনসংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১৩ কোটিতে। ২০১৭-১৮ সালে কৃষিজমি নেমে আসে ৮০ লাখ হাজার হেক্টরে। ২০২৩-২৪ সালের হিসাব অনুযায়ী, দেশে আবাদযোগ্য জমি রয়েছে প্রায় ৭৯ লাখ ৪৬ হাজার হেক্টর, জনসংখ্যা প্রায় ১৮ কোটি। অর্থাৎ, স্বাধীনতার পর থেকে এখন পর্যন্ত কৃষিজমি কমেছে প্রায় ১ কোটি ৩৭ লাখ হেক্টরের বেশি।

কৃষি অফিসের পরিসংখ্যান অনুযায়ী নওগাঁ জেলার ১১ উপজেলায় গত ১০ বছরে আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ কমেছে ১২ হাজার ৪২৯ হেক্টর। এর মধ্য ২০১৫ সালে ৩৫২ হেক্টর, ২০১৬ সালে ২৮৩ হেক্টর, ২০১৭ সালে ৪২৩ হেক্টর, ২০১৮ সালে ৪৮৪ হেক্টর, ২০১৯ সালে ৪২৯ হেক্টর, ২০২০ সালে ৪০৬ হেক্টর, ২০২১ সালে ৩৮১ হেক্টর, ২০২২ সালে

৬ হাজার ৬০৩ হেক্টর, ২০২৩ সালে ২০০ হেক্টর, ২০২৪ সালে ২ হাজার ৮৫০ হেক্টর এবং ২০২৫ সালে ১৮ হেক্টর জমির আবাদ কমেছে। নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবুল কালাম আজাদ জানান, ২০১৫ সালে নওগাঁ জেলার ১১ উপজেলায় আবাদযোগ্য জমি ছিল ২ লাখ ৭৪ হাজার ৬৮২ হেক্টর। ২০২৫ সালের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ রয়েছে ২ লাখ ৬৩ হাজার ৫ হেক্টর।

আবাদযোগ্য জমি কমার কারণ হিসেবে কৃষি বিভাগ বলছে- কৃষি জমিতে পুকুর খনন, বাড়িঘর নির্মাণ, নতুন নতুন এলাকায় রাস্তাঘাট, ব্রিজ, কালভার্ট নির্মাণ করায় দিন দিন আমাদের জমি হ্রাস পাচ্ছে।

বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- ২০২৩ সালের তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে মোট আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ ২ কোটি ১ লাখ ৫৭ হাজার একর বা ৮০ লাখ ৩০ হাজার হেক্টর। মোট জনসংখ্যা আনুমানিক ১৮ কোটি হিসেবে, মাথাপিছু আবাদি জমির পরিমাণ দাঁড়ায় শূন্য দশমিক ৪৪ হেক্টরে। ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট নির্মাণসহ নানা কারণে প্রতিবছর দেশের প্রায় ৮০ হাজার হেক্টর জমি অকৃষি খাতে চলে যাচ্ছে। দেশে সুনির্দিষ্ট জরিপ না হওয়ায় আবাদি জমির পরিমাণে গরমিল দেখা যায়। বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী প্রতিবছরই এ দেশ থেকে প্রায় ১ শতাংশ হারে কৃষিজমি হারিয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিন কমছে প্রায় ২১৯ হেক্টর আবাদি জমি। পরিসংখ্যান ব্যুরো এবং কৃষি বিভাগের হিসাব মতে, প্রতি বছর দেশের কৃষি জমির পরিমাণ কমছে ৬৮ হাজার ৭০০ হেক্টর। অর্থাৎ, প্রতি বছর শতকরা প্রায় ১ শতাংশ হিসাবে আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ কে ছে।

সরকারের গবেষণা প্রতিষ্ঠান মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের (এসআরডিআই) প্রকাশিত ‘বাংলাদেশের কৃষিজমি বিলুপ্তির প্রবণতা’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০০ সাল-পরবর্তী ১২ বছরে দেশে প্রতি বছর ৬৮ হাজার ৭৬০ হেক্টর আবাদি জমি অকৃষি খাতে চলে যাচ্ছে। শুধু অবকাঠামো নির্মাণকাজের কারণে ৩ হাজার হেক্টর জমি বিলীন হচ্ছে। ‘জাতীয় ভূমি ব্যবহার নীতি ২০১০’ এবং ‘কৃষিজমি সুরক্ষা ও ভূমি জোনিং আইন ২০১০’ অনুসারে কৃষিজমি কৃষিকাজ ব্যতীত অন্য কোনো কাজে ব্যবহার করা যাবে না। কোনো কৃষিজমি ভরাট করে বাড়িঘর, শিল্প-কারখানা, ইটভাটা বা অন্য কোনো অকৃষি স্থাপনা কোনোভাবেই নির্মাণ করা যাবে না উল্লেখ করে একটি নামমাত্র আইন আছে।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ১৯৮২-৮৩ সালে বাংলাদেশে প্রকৃত ফসলি জমি ছিল ৯০ লাখ ১৫ হাজার হেক্টর। ২০১৭-১৮ সালে ফসলি জমির পরিমাণ কমে দাঁড়িয়েছে ৮০ লাখ হাজার হেক্টরে। দেশে প্রতিবছর গড়ে প্রায় ৬৯ হাজার হেক্টর আবাদি জমি অকৃষি কাজে ব্যবহারের জন্য চলে যাচ্ছে। উচ্চহারে জনসংখ্যা ও তাদের চাহিদা বৃদ্ধির কারণে মাথাপিছু জমির পরিমাণ হ্রাসের জন্য কৃষি, বন ও জলাভূমির পরিমাণ হ্রাস পাচ্ছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর অফিসের তথ্য থেকে জানা যায়, বর্তমানে দেশের মোট ভূমির মধ্যে আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ এখন ৭৯ দশমিক ৪৬ লাখ হেক্টর। আর এর ৫৩ শতাংশ-ই দুই বা তিন ফসলি জমি। তবে অবকাঠামো নির্মাণ, ইটভাটা, কল-কারখানার জন্য ভূমি অধিগ্রহণ এবং নতুন নতুন বসতভিটা বাড়ার কারণে প্রথমেই অধিগ্রহণ হচ্ছে কৃষিজমি।

বেসরকারি পর্যায়ে গবেষকরা বলছেন, সেচের আওতায় চাষাবাদের জমি ৭৪ লাখ ৪৮ হাজার হেক্টর। ফসলের নিবিড়তা ১৯৪ শতাংশ। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ধানের উৎপাদন হয়েছিল ৩ কোটি ৬৬ লাখ ৩৮ হাজার টন। একই অর্থবছরে মোট দানাদার ফসলের উৎপাদন ছিল ৪ কোটি ৩০ লাখ ৩৬ হাজার টন। আর ২০২০-২১ অর্থবছরে বেড়ে দাঁড়ায় ৪ কোটি ৬৬ লাখ ৩৫ হাজার টন। কৃষিতে উৎপাদন বেড়েছে মূলত হাইব্রিড ও কৃষির গবেষণা ও বীজ উদ্ভাবনের কারণে।

ভূমি জরিপ বিভাগের তথ্য মতে, ১৯৭১ সালে দেশে আবাদি জমির পরিমাণ ছিল ২ কোটি ১৭ লাখ হেক্টর, যা বর্তমানে এসে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৮১ লাখ ৫৮ হাজার হেক্টরে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের জনসংখ্যা ছিল ৭ কোটি ৯০ লাখ। ২০০০ সালে ১৩ কোটি এবং বর্তমানে ১৮ কোটিতে এসে দাঁড়িয়েছে। পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, রাজশাহী বিভাগে ১৫ হাজার ৯৪৫ হেক্টর, ঢাকায় ১৫ হাজার ১৩১ হেক্টর, খুলনায় ১১ হাজার ৯৬ হেক্টর, রংপুরে ৮ হাজার ৭৮১ হেক্টর, বরিশালে ৬ হাজার ৬৬১ হেক্টর জমি প্রতিবছর অকৃষি জমিতে পরিণত হচ্ছে। চট্টগ্রাম বিভাগে প্রতিবছর ১৭ হাজার ৯৬৮ হেক্টর জমি অকৃষি খাতে চলে যাচ্ছে।

নগর পরিকল্পনাবিদ, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট চট্টগ্রামের সাবেক সভাপতি প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন মজুমদার বলেন, ১৯৪৭ সালে যখন আমরা পূর্ব পাকিস্তান হই, তখন ৪ কোটি মানুষের এই অঞ্চলে খাদ্য ঘাটতি ছিল। ১৯৭১ সালে স্বাধীন হওয়ার পরও ৭ কোটি মানুষের বাংলাদেশে খাদ্য ঘাটতি ছিল। এখন ১৮ কোটি মানুষের বাংলাদেশ খাদ্যে অনেকটা স্বয়ংসম্পূর্ণ। এটা আমাদের কৃষক থেকে শুরু করে কৃষিবিজ্ঞানী পর্যন্ত কিছু মানুষের অক্লান্ত শ্রমের ফল। তবে অপরিকল্পিত নগরায়ণ এবং কিছু মানুষকে অনৈতিক সুবিধা দিতে গিয়ে কৃষি ভূমি দ্রুতই কমছে। গ্রামেও নেতিবাচক প্রভাবের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, পরিবার ভেঙে পুরনো ভিটা থেকে বের হয়ে অন্য সদস্যরা কৃষিজমিতে নতুন ভিটা করছে। এতেও কৃষিজমি কমছে। সরকারের উচিত পুরনো ভিটায় বহুতল ভবন নির্মাণের মাধ্যমে কৃষিজমি সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা। এ ক্ষেত্রে বহুতল বাড়ি নির্মাণের জন্য শূন্য সুদে দীর্ঘ মেয়াদে ঋণের ব্যবস্থা করা যায়।

কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. জাহাঙ্গীর আলম এক গবেষণায় দেখিয়েছেন দশকভিত্তিক কী পরিমাণ জমি কমেছে। দেখা গেছে, ১৯৮৪-১৯৯৬ দশকে প্রতিবছর গড়ে ০.৯৭ শতাংশ হারে জমি কমেছে। ১৯৯৬-২০০৮ পর্যন্ত হ্রাসের হার ০.৭৪ শতাংশ। ২০০৮-২০১৯ পর্যন্ত কমে দাঁড়িয়েছে ০.২১ শতাংশ। গত ৩৫ বছরে গড়ে প্রতিবছর কৃষিজমি কমেছে প্রায় ০.৩৫ শতাংশ হারে।

আঞ্চলিক পর্যায়ে দেখা যায়, রাজশাহী অঞ্চলে ২০০৮-০৯ মৌসুমে চাষযোগ্য জমি ছিল ৭.৪২ লাখ হেক্টর, ২০২৩-২৪ মৌসুমে নেমে দাঁড়ায় ৭.১৮ লাখ হেক্টরে। নওগাঁ জেলায় ২০১৫ সালে আবাদি জমি ছিল ২.৭৪ লাখ হেক্টর, ২০২৫ সালে কমে দাঁড়ায় ২.৬৩ লাখ হেক্টরে। চট্টগ্রাম অঞ্চলে গত এক দশকে কৃষিজমি কমেছে প্রায় ৫২ হাজার একর। বন্দরনির্ভর শিল্পায়ন ও অবকাঠামো প্রকল্প এর প্রধান কারণ বলে জানা গেছে। খুলনা বিভাগে এক দশকে কমেছে প্রায় ১৫ হাজার হেক্টর জমি। কিছু উপজেলায় আবাদি জমির অর্ধেক হারিয়ে গেছে। দিনাজপুর অঞ্চলে গত ছয় বছরে কমেছে ৩ হাজার ২৩২ হেক্টর জমি। আবাসন প্রকল্প সবচেয়ে বড় হুমকি এ অঞ্চলে। খাগড়াছড়িতে এক দশকে ঘরবাড়ির সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে; কৃষিজমি কমে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ একরের নিচে।

কেন কমছে জমি। আবাসন প্রকল্প ও নতুন বসতি গড়ে ওঠা, শিল্প-কারখানা, ইটভাটা ও কলকারখানা, সড়ক, ব্রিজ, কালভার্ট ও অবকাঠামো নির্মাণ অন্যতম কারণ। পুকুর খনন ও পরিবারভিত্তিক ভিটা ভাগ হওয়া, অপরিকল্পিত নগরায়ণ ও ভূমি ব্যবহারের অনিয়মও এ ক্ষেত্রে অন্যতম কারণ।

জমি কমে যাওয়ায় গম, বোরো ও আমন ধান, আখ, পাট, ডালসহ নানা ফসলের উৎপাদন হার কমছে। ফসলের হাইব্রিড ও কৃষির গবেষণায় নতুন নতুন উদ্ভাবনের কারণে উৎপাদন অবশ্য বাড়ছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ধানের উৎপাদন হয়েছিল ৩ কোটি ৬৬ লাখ টন। ২০২০-২১ সালে তা বেড়ে দাঁড়ালেও জমি কমার কারণে উৎপাদন বৃদ্ধির হার স্থায়ী হয়নি। অন্যদিকে কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের তথ্যে জানা যায়, গত সাত বছরে কৃষি উৎপাদন খরচ বেড়েছে ৩.৫ শতাংশ, কিন্তু কৃষিপণ্যের দাম বেড়েছে মাত্র ১.৩১ শতাংশ। ফলে কৃষকরা লোকসান গুনছেন, অনেকেই জমি বিক্রি করে অন্য পেশায় চলে যাচ্ছেন।

বনভূমি ও জীববৈচিত্র্যও হুমকিতে পড়ছে। কৃষিজমির পাশাপাশি বনভূমির অবস্থাও নাজুক। ২০১৫-২৩ সময়ে বনভূমি কমেছে ৫.৪১ শতাংশ। এর জায়গায় সামাজিক বনায়ন বাড়লেও প্রাকৃতিক বনের ক্ষতি পূরণ হয়নি। এতে জীববৈচিত্র্য ও বন্যপ্রাণী হুমকির মুখে পড়েছে।

নগর পরিকল্পনাবিদ প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন মজুমদার মনে করেন, অপরিকল্পিত নগরায়ণ এবং কিছু মানুষের অনৈতিক সুবিধার কারণে কৃষিজমি দ্রুত কমছে। গ্রামেও জমি ভাগ হয়ে ভিটা তৈরির কারণে আবাদি জমি হ্রাস পাচ্ছে। সরকারের উচিত পুরনো ভিটায় বহুতল ভবন নির্মাণে উৎসাহ দেওয়া এবং এ জন্য দীর্ঘমেয়াদি শূন্য সুদের ঋণ দেওয়া।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আশিকুর রহমান বলেন, উপজেলা পর্যায়ে যেভাবে আবাসন প্রকল্প গড়ে উঠছে, তা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। খাদ্যনিরাপত্তা রক্ষায় জরুরি ভিত্তিতে সমন্বিত পরিকল্পনা নিতে হবে।

এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তিন ফসলি জমিতে শিল্প বা আবাসন প্রকল্প বন্ধ করতে হবে। উপজেলা পর্যায়ে স্যাটেলাইট শহর গড়ে নগরায়ণের চাপ কমাতে হবে। কৃষিপণ্যের ন্যূনতম মূল্য ঘোষণা জরুরি। সরকারি খাসজমি চিহ্নিত করে কৃষির আওতায় আনা দরকার বলে মনে করছেন তাঁরা।

বাংলাদেশ একসময় খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছিল। কিন্তু দ্রুত কমে আসা আবাদি জমি, বাড়তে থাকা উৎপাদন খরচ ও নগরায়ণের চাপ এখন সেই অর্জনকে হুমকির মুখে ফেলছে। খাদ্য নিরাপত্তা রক্ষায় এখনই কৃষিজমি ও কৃষক দুটোকেই বাঁচাতে হবে। নইলে আগামী প্রজন্মের ভাতের থালা ভরানোই কঠিন হয়ে উঠবে।

প্রতিবেদনটি তৈরিতে সহায়তা করেছেন, চট্টগ্রাম ব্যুরো, নিজস্ব প্রতিবেদক রাজশাহী, বরিশাল ব্যুরো, ময়মনসিংহ ও নওগাঁ প্রতিনিধি