এভাবে চললে তো একসময় আর সিনেমা হলই থাকবে না

সাক্ষাৎকার

ফয়সাল আহমেদ
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০০:০০
শেয়ার :
এভাবে চললে তো একসময় আর সিনেমা হলই থাকবে না

সিয়াম আহমেদ। বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক। ২০১৮ সালে ‘পোড়ামন ২’ দিয়ে বড়পর্দায় আবির্ভাব ঘটে। এর পর থেকে আর তাকে ছোটপর্দায় সেভাবে দেখা যায়নি। লেগে আছেন সিনেমাকে ঘিরে। সিনেমা আঁকড়ে ধরে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। বড়পর্দায় এখন আলাদা একটা অবস্থান তৈরি করতে পেরেছেন এই তারকা। বিভিন্ন বিষয়ে কথা হয় আমাদের সময়ের সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন- ফয়সাল আহমেদ

নতুন সিনেমায় যুক্ত হলেন?

সব সময়ই চেষ্টা করি ভালো গল্পের সঙ্গে থাকতে। ‘রাক্ষস’ নামে একটি সিনেমার বিষয়ে কথা হয়েছে নির্মাতা মেহেদী হাসান হৃদয়ের সঙ্গে। জাস্ট এটুকুই। আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না আসা পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করতে চাচ্ছি না।

গেল মাসে রায়হান রাফীর একটি সিনেমায় অভিনয়ের কথা শোনা গিয়েছিল?

হুম। তিন বছর পর আমরা আবার একসঙ্গে কাজ করছি। এর আগে রাফীর পরিচালনায় ‘পোড়ামন ২’, ‘দামাল’ এবং ওয়েব ফিল্ম ‘টান’-এ অভিনয় করেছি। এবারের ছবির নাম ‘আন্ধার’। এটি একটি ভৌতিক সিনেমা। প্রি-প্রোডাকশনের কাজ চলছে। সবকিছু ঠিক থাকলে শিগগিরই শুরু হবে শুটিং।

একটি সিনেমা করার ক্ষেত্রে আপনার কাছে কোন বিষয়টি বেশি প্রাধান্য পায়?

দর্শকের ভালো লাগা, তারপর আমার নিজের ভালো লাগা। সব সময় দর্শকের প্রত্যাশার চেয়ে ভালো কিছু দিতে চাই। আমি চাইছি নিজের মতো করে কাজ করতে। জীবনে অনেক সিনেমা করতে হবে, এমন চিন্তা নেই। নিজের মতো করে অল্প কিছু কাজ করে যেতে চাই, যেগুলো দর্শকের মনে দাগ কেটে থাকবে।

বলা যেতেই পারে আপনি একজন সফল মানুষ। এই সফলতার পেছনে কার অবদান সবচেয়ে বেশি?

অবশ্যই আমার স্ত্রী শাম্মা রুশাফি অবন্তীর। ২০১১ সাল থেকে অবন্তী আমার জন্য যে পরিশ্রম করেছে, তা যদি নিজের জন্য করত, তাহলে নিজের ক্যারিয়ারে আজ সে অনেক ওপরে থাকত। শুধু অভিনয় জীবনই নয়, বিদেশে নিজের একাডেমিক জীবনের সবচেয়ে কঠিন সময়েও আমার পাশে শক্তভাবে অবস্থান নিয়েছিল অবন্তী।

আপনার প্রতিদিনের ভাবনা কী?

প্রতিনিয়ত ভাবি, নতুন কোনো কিছু শিখতে বা দিতে পারছি কিনা। আগের ভুল ও অপ্রাপ্তি থেকে শিক্ষা গ্রহণ করার চেষ্টা থাকে। তবে সবই ইতিবাচকভাবে দেখি। আপনি গ্লাসকে যেভাবে দেখবেন গ্লাসটি অতটুকুই ভরা বা খালি মনে হবে। প্রতিনিয়ত যেটা শেখার ও জানার চেষ্টা করছি সেটা হলো এখানে কেউ সারাজীবনের জন্য সবার প্রিয় থাকবে না। আবার কেউ সারা জীবনের জন্য কারও বন্ধু বা শত্রু থাকবে না। কথাটি মান্না ভাই অনেক আগেই বলেছিলেন। সবাই ধীরে ধীরে কথাটি উপলব্ধি করেন।

একের পর এক হল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। বিষয়টা একজন অভিনেতা হিসেবে আপনাকে কতটা ভাবায়?

খুবই ভাবায়। এভাবে চললে তো একসময় আর সিনেমা হলই থাকবে না। সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। সেই উদ্যোগটা যারা স্টাবলিশ আর্টিস্ট, প্রডিউসার, ডিরেক্টর- তাদেরই নিতে হবে। সাহসের সঙ্গে এগিয়ে এসে দেখাতে হবে, সিনেমা ভালো হলে সব সময়ই দর্শক পায়। আর দর্শক থাকা মানে হল বন্ধ হওয়ার প্রশ্নই আসবে না। ঈদ ছাড়াও সিনেমা মুক্তি দিতে হবে। ঈদ ছাড়া কিন্তু আমার বেশ কিছু সিনেমা মুক্তি পেয়েছে, এটা সবাই জানেন। কিন্তু কিছু সিনেমার বাজেট থাকে এমন যে, ঈদের আয়োজন ছাড়া রিকোভার করা কঠিন। সিনেমা হলের অবস্থা খারাপ, এটা সবাই জানেন। এখন সিনেমা অন্য কোনো উৎসবে আসতেই পারে। এ জন্য প্রপার একটা সিস্টেম দাঁড় করাতে হবে। আমি একা সাহস করলে কিন্তু কিছুই হবে না।