‎মালয়েশিয়ায় পাচারের সময় নারী-শিশুসহ ৮৪ জন উদ্ধার

টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯:২৮
শেয়ার :
‎মালয়েশিয়ায় পাচারের সময় নারী-শিশুসহ ৮৪ জন উদ্ধার

কক্সবাজারের টেকনাফে গহিন পাহাড়ে যৌথ অভিযানে নারী-শিশুসহ ৮৪ জনকে উদ্ধার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ সময় মানবপাচারকারীরা গুলি চালায়। ঘটনাস্থল থেকে তিন পাচারকারীকে আটক করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ১৮ জন বাংলাদেশি এবং ৬৬ জন রোহিঙ্গা। জানা গেছে, উদ্ধার হওয়া ৮৪ জনকে নদীপথে অবৈধভাবে মালয়েশিয়অ পাচারের জন্য জড়ো করা হয়েছিল।

আজ সোমবার দুপুরে টেকনাফ-২ বিজিবির ব্যাটালিয়নে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান টেকনাফ ২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. আশিকুর রহমান এবং কক্সবাজার র‌্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল কামরুল হাসান।

‎আটক মানবপাচারকারী সদস্যরা হলেন, টেকনাফের বাহারছড়ার বাসিন্দা আব্দুল্লাহ (২১), একই এলাকার সাইফুল ইসলাম (২০), ও মো. ইব্রাহিম (২০)

‎লে. কর্নেল কামরুল হাসান বলেন, ‘টেকনাফের বাহারছড়া কচ্ছপিয়ায় গহিন পাহাড়ে একটি পাচারকারী চক্র মালয়েশিয়া-থাইল্যান্ডে নেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে কয়েকজন ভুক্তভোগীকে আটক রাখা খবরে গতকাল রাতে বিজিবি-র‌্যার সদস্যরা প্রথমে বাহারছড়া পাহাড়ি এলাকা থেকে একজন পাচারকারীকে আটকসহ চার ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে। তাদের বর্ণনা এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ভিত্তিতে পাহাড়ে আমরা সমন্বিতভাবে যৌথ অভিযান পরিচালনা করি। এতে আলাদাভাবে পাচারকারীদের তিনটি পাহাড়ি আস্তানা থেকে ৮৪ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাদেরকে পাচারের জন্য জড়ো করা হয়েছি।’ ‎

‎তিনি আরও বলেন,‘বিজিবি ও র‌্যাবের ১২ ঘণ্টার অভিযানে ঘটনাস্থল থেকে একটি ওয়ান শুটার গান ও একটি একনলা বন্দুক উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়াও, তাদের আস্তানায় তল্লাশি চালিয়ে একটি বিদেশি পিস্তল, দুইটি দেশীয় রামদা ও একটি চাকু, ৩টি অস্ত্রের চেম্বার থেকে ৩ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়া চলছে।’

‎টেকনাফ ২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. আশিকুর রহমান বলেন,‘সম্প্রতি টেকনাফে পাহাড়ি মানবপাচারের বেশ কয়েকটি গ্রুপ সক্রিয় হয়েছে। ফলে আমরা টহল-নজরদারীর মাধ্যমে পাহাড়ে অভিযান পরিচালনা করছি। এরই অংশ হিসেবে আমরা কয়েকটি পাহাড়ে মানবপাচার চক্রের আস্তানায় হানা দিয়ে সমুদ্রপথে মিয়ানমার হয়ে মালয়েশিয়া পাচারের উদ্দেশ্যে জড়ো করা ৮৪ জনকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। তাদের মধ্যে যেমন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা রয়েছে, তেমনি বাংলাদেশি নাগরিকও রয়েছে।’

‎তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে অবস্থানরত হোসেন, সাইফুল ও নিজাম নামের তিন ব্যক্তি এই আন্তর্জাতিক চক্রের প্রধান। তাদের অধীনে রয়েছে বিভিন্ন শাখা-প্রশাখায় বিভক্ত দালালদের একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক রয়েছে। এ ছাড়া স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ ক্যাম্পের চক্রও জড়িত রয়েছে। তাদের আমরা ধরতে কাজ করছি।’