ঐক্য হলে নুরুল হক নুরের নেতৃত্বেই হওয়া উচিত: আবু হানিফ
এনসিপি ও গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে ঐক্য হলে অভিজ্ঞতা ও সামগ্রিক বিবেচনায় গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের নেতৃত্বে হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন দলটির উচ্চতর পরিষদের সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ। আজ সোমবার নিজের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া পোস্টে এ কথা লেখেন তিনি।
আবু হানিফ লেখেন, ‘বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদের উত্তাল সময়ে রাজপথের আন্দোলন-সংগ্রাম থেকে গড়ে ওঠা দল গণঅধিকার পরিষদ (জিওপি)। ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনে নেতৃত্বে দেওয়া তরুণদের নেতৃত্বে ২০২১ সালে দলটি গঠিত হয়। দল গঠনের পূর্বে এই তরুণদের নেতৃত্বে ছাত্র, যুব ও শ্রমিক অধিকার পরিষদ দেশের মানুষের পক্ষে রাজপথে কথা বলেছে, দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছে, মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য লড়াই করেছে।’
তিনি লেখেন, ‘পরবর্তী সময় এই তরুণদের বড় একটি অংশ ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানেও নেতৃত্ব দিয়েছে। আবার ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া সামনের সারির অনেকের রাজনীতির হাতেখড়ি এই অধিকার পরিষদ।’
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
গণঅধিকার পরিষদের এ নেতা লেখেন, ‘বর্তমানে গণঅধিকার পরিষদ (জিওপি) নিবন্ধিত একটি রাজনৈতিক দল এবং সারাদেশে অসংখ্য নেতাকর্মী রয়েছে দলটির। গণঅভ্যুত্থানের ১ বছরে দলীয় নেতাকর্মীদের নামে কোন চাঁদাবাজি ,দখলবাজির অভিযোগ নেই। বরং ক্লিন ইমেজের কারণে তরুণদের প্রতিনিধিত্বকারী দলটি এই মুহূর্তে সবচেয়ে সম্ভাবনাময়ী দল।’
তিনি লেখেন, ‘গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা কোনো দলে যোগ দেবে না। এনসিপির অধিকাংশ নেতা গণঅধিকার পরিষদের সাবেক নেতা এবং তারা গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের শিষ্য। ফলে ঐক্য হলে রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা ও সামগ্রিক বিবেচনায় নুরুল হক নুরের নেতৃত্বেই হওয়া উচিত। ‘
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
আবু হানিফ লেখেন, ‘এনসিপির নেতাকর্মীদের রাজনৈতিক চিন্তাভাবনা গণঅধিকার পরিষদের কাছাকাছি। তাই দুই দল একত্রিত হওয়ার আলোচনা চলছে। রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা ও বাস্তবতার কারণে আমরা মনে করি তরুণদের দুই দল একত্রিত হলে ব্যাপক সম্ভাবনা সৃষ্টি করবে এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে নতুন রাজনীতি দ্বার উন্মোচিত হবে। তাই দুই দলের ঐক্যের বিষয়ে আমরা আন্তরিক। তার মানে এই নয় নিজেদের সবকিছু বিসর্জন দিয়ে আরেক দলে যোগ দেব।’