বিএসএফ ও আরাকান আর্মির হাতে আটক শতাধিক জেলেকে উদ্ধারের দাবি

অনলাইন ডেস্ক
২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪:৪৯
শেয়ার :
বিএসএফ ও আরাকান আর্মির হাতে আটক শতাধিক জেলেকে উদ্ধারের দাবি

ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) এবং মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি কর্তৃক অপহৃত শতাধিক বাংলাদেশি জেলেকে দ্রুত মুক্তি ও উদ্ধারের দাবি জানানো হয়েছে।

আজ সোমবার সকালে রাজধানীর পুরানা পল্টনের তোপখানা রোডের মেহেরবা প্লাজায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান কবি, লেখক ও সংগঠক নাহিদ হাসান।

সভাপতির বক্তব্যে এই সংগঠক বলেন, গত বছরের ৪ নভেম্বর কুড়িগ্রামের চিলমারী, রৌমারী ও রাজীবপুর উপজেলার সাতজন জেলে মাছ ধরতে গিয়ে ভুলক্রমে ভারতীয় সীমান্তে ঢুকে পড়েন। এ সময় অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) তাদের ধরে নিয়ে যায়। পরে মেঘালয়ের কালাইরচর পেট্রোল থানার আমপাতিতে তাদের আটক রাখা হয়।কিন্তু এর প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো তারা দেশে ফিরতে পারেননি।

অন্যদিকে চলতি বছরের ১১ সেপ্টেম্বর কক্সবাজারের সেন্টমার্টিনের অদূরে সাগর থেকে পাঁচটি মাছ ধরার ট্রলারসহ ৪০ জেলেকে ধরে নিয়ে যায় আরাকান আর্মি। এর আগে আরও ৮১ জেলে অপহৃত হয়েছিলেন, যাদের এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। 

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, জেলেদের অপহৃতের বিষয়ে বোট মালিক সমিতির পক্ষ থেকে বিজিবি, কোস্টগার্ড ও উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। কিন্তু বিজিবি, কোস্টগার্ড ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কী উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তা জানা যায়নি। 

আটক জেলেরা তাদের পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষ ব্যক্তি উল্লেখ করে নাহিদ হাসান বলেন, ‘উজানের ব্রহ্মপুত্র থেকে ভাটির বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত জেলেদের জীবন কচুপাতার মতো টলমল। অথচ তাদের শ্রম ছাড়া সাধারণ মানুষের পাতে মাছ ওঠে না। মুক্তিযুদ্ধে যাদের নৌকাই ছিল ভরসা, আজ তারাই অনিরাপদ।’ 

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ সরকারকে আন্তর্জাতিক আদালতে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়। একই সঙ্গে ভারত ও মিয়ানমারের জনগণকে মানবিক কারণে আটক জেলেদের মুক্তির দাবিতে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান নাহিদ হাসান। সেই সঙ্গে বিদেশে অবস্থিত ভারত ও মিয়ানমারের দূতাবাসগুলোতেও বাংলাদেশিদের ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে সংহতি জ্ঞাপনের আহ্বান জানান তিনি। 

আটক জেলেদের পরিবারের সদস্য জরিনা বেগম ও কাজলি ছাড়াও সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন রেল-নৌ, যোগাযোগ ও পরিবেশ উন্নয়ন গণকমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার আরিফ, রাষ্ট্র সংস্কার কৃষক আন্দোলনের সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম এবং বাংলাদেশ ভূমিহীন আন্দোলনের সাংগঠনিক সম্পাদক ছামিউল আলম প্রমুখ।