আবুল হায়াত শোনালেন তার প্রোস্টেট ক্যান্সার জয়ের গল্প
সারাবিশ্বে প্রতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসকে প্রোস্টেট ক্যান্সার সচেতনতার মাস হিসেবে পালন করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় জনগণের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে “রবিপথ থেকে জীবনপথ: প্রোস্টেট ক্যান্সার জয়ের গল্প” শীর্ষক বিশেষ আলোচনা সভার আয়োজন করে স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন সেন্টার ফর ক্যান্সার কেয়ার ফাউন্ডেশন (সিসিসিএফ)।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে ৪টায় রাজধানীর বাংলামোটরে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ষষ্ঠ তলার ৫০৫ নম্বর কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় নাট্যাভিনেতা ও লেখক আবুল হায়াত তাঁর আত্মজীবনী রবিপথ লেখার প্রেক্ষাপট এবং প্রোস্টেট ক্যান্সার জয়ের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ক্যান্সার জয় করা সম্ভব— যদি রোগীরা সাহস ও ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে লড়াই চালিয়ে যান।
প্রজনন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. হালিদা হানুম আখতার বলেন, প্রোস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধ ও প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্তকরণের গুরুত্ব এখন আরও বাড়াতে হবে।
জ্যেষ্ঠ জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. আবু জামিল ফয়সাল বলেন, ক্যান্সার মোকাবেলায় জনসচেতনতা এবং সহজলভ্য চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা জরুরি।
যাদুশিল্পী জুয়েল আইচ ও অভিনেতা-চিত্রপরিচালক আফজাল হোসেন ক্যান্সার সচেতনতা কার্যক্রমে সিসিসিএফ-এর উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান।
সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএমইউ-এর বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের অধ্যাপক ডা. নাসরিন চৌধুরী, ক্লিনিক্যাল ও রেডিয়েশন অনকোলজিস্ট ডা. অসীম কুমার সেনগুপ্ত এবং সহযোগী অধ্যাপক ও মলিকুলার অনকোলজিস্ট ডা. মুশতাক ইবনে আয়ুব।
আরও পড়ুন:
ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় ১২ জনের মৃত্যু
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিসিসিএফ-এর প্রেসিডেন্ট রোকশানা আফরোজ। সঞ্চালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক জাহান-ই-গুলশান শাপলা। তিনি বলেন, ক্যান্সার চিকিৎসার ব্যয় সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। এজন্য জাতীয় ক্যান্সার তহবিল গঠনের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবী ও তরুণদের সক্রিয়ভাবে যুক্ত হওয়া জরুরি।
সভায় বক্তারা ক্যান্সার চিকিৎসার পাশাপাশি রোগীর মানসিক স্বাস্থ্যসেবার গুরুত্বের ওপরও জোর দেন। তাঁরা প্রতিটি ক্যান্সার হাসপাতালে ক্যান্সার কাউন্সেলর নিয়োগের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।
প্রসঙ্গত, সিসিসিএফ হলো ক্যান্সার আক্রান্ত ব্যক্তি, সার্ভাইভার, আক্রান্তের পরিবার, কেয়ারগিভার, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এবং ক্যান্সার প্রতিরোধে আগ্রহী স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে গঠিত একটি অলাভজনক সামাজিক সংগঠন। প্রতিষ্ঠানটি সচেতনতা বৃদ্ধি, মানসিক কাউন্সেলিং এবং তথ্যসেবা প্রদান করে আসছে।