ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিচ্ছেন আপ বাংলাদেশের আহ্বায়ক জুনায়েদ

অনলাইন ডেস্ক
২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৬:১৭
শেয়ার :
ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিচ্ছেন আপ বাংলাদেশের আহ্বায়ক জুনায়েদ

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিচ্ছেন ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশের (আপ বাংলাদেশ) আহ্বায়ক আলী আহসান জুনায়েদ।

আজ রবিবার দুপুর থেকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলে তার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। এ মামলায় তিনি ৪৮ নম্বর সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দিচ্ছেন। ২০১৩ সালের কোটাবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে গত জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের নানা ঘটনা তার বর্ণনায় উঠে আসছে।

প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করছেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম। তার সঙ্গে রয়েছেন প্রসিকিউটর আবদুস সাত্তার পালোয়ান, মামুনুর রশীদসহ অন্যরা।

এর আগে আজ বেলা ১১টার পর জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের অবশিষ্ট জেরা করেন শেখ হাসিনা ও কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নাহিদের জেরা শেষ হলে জুনায়েদের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।

এ মামলায় ইতোমধ্যেই সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন রাজসাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছেন। তিনি জানান, শেখ হাসিনা ও কামালের নির্দেশেই জুলাই-আগস্টে গণহত্যা চালানো হয়। এই মামলায় ৮১ জন সাক্ষীকে হাজির করার কথা রয়েছে।

সাক্ষীদের জবানবন্দিতে গত বছরের জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে দেশজুড়ে হত্যাযজ্ঞ চালানোর বীভৎস বর্ণনা উঠে এসেছে। আর এ সবের জন্য দায়ী করে শেখ হাসিনা, কামালসহ জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়েছেন শহিদ পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষীরা।

গত ১০ জুলাই শেখ হাসিনা, কামাল ও মামুনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। এ মামলায় তাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগ আনে প্রসিকিউশন। আনুষ্ঠানিক অভিযোগ মোট আট হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠার। এর মধ্যে তথ্যসূত্র দুই হাজার ১৮ পৃষ্ঠার, জব্দতালিকা ও দালিলিক প্রমাণাদি চার হাজার ৫ পৃষ্ঠার এবং শহিদদের তালিকার বিবরণ দুই হাজার ৭২৪ পৃষ্ঠার রয়েছে। সাক্ষী হিসেবে রয়েছেন ৮১ জন। গত ১২ মে চিফ প্রসিকিউটরের কাছে প্রতিবেদন জমা দেয় ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।