সাইবার হামলার শিকার লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর
সাইবার হামলার কারণে ইউরোপের কয়েকটি প্রধান বিমানবন্দরে ফ্লাইট বিলম্বিত ও বাতিল হয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরেও। চেক-ইন ও বোর্ডিং সিস্টেমের জন্য ব্যবহৃত মিউজ সফটওয়্যার পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান কলিন্স অ্যারোস্পেসে শুক্রবার রাতে এই সাইবার হামলার ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রতিষ্ঠানটি বলছে, তাদের সিস্টেম সাইবার আক্রমণের শিকার হয়েছে। সমস্যাটি সমাধানে কাজ চলছে এবং হাতে-কলমে চেক-ইনের মাধ্যমে কিছুটা বিকল্প ব্যবস্থা চালু করা সম্ভব হচ্ছে।
এদিকে যাত্রীদের ফ্লাইটের অবস্থা যাচাই করে ভ্রমণের পরামর্শ দিয়েছে হিথ্রো বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। দীর্ঘপাল্লার ফ্লাইটের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ তিন ঘণ্টা আগে এবং অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের ক্ষেত্রে দুই ঘণ্টা আগে বিমানবন্দরে আসতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
রোগীর পেটে জীবন্ত মাছি!
ব্রাসেলস বিমানবন্দর জানিয়েছে, শুক্রবার রাতে আক্রমণের পর থেকে চেক-ইন ও বোর্ডিং ম্যানোয়ালি করতে হচ্ছে, যা ফ্লাইট সূচিতে ব্যাপক প্রভাব ফেলছে। বার্লিন বিমানবন্দরও জানিয়েছে, যাত্রীদের দীর্ঘ অপেক্ষার মুখোমুখি হতে হচ্ছে।
ব্রিটিশ পরিবহন মন্ত্রী হাইডি আলেকজান্ডার বলেছেন, তিনি পরিস্থিতি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন। যাত্রীদের ফ্লাইট নিশ্চিত হওয়ার আগে বিমানবন্দরে না আসার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
এ ঘটনায় ইউরোপীয় কমিশন জানিয়েছে, তারা নিবিড়ভাবে হামলার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। তবে কমিশনের মতে, বিমান চলাচলের নিরাপত্তা ও এয়ার ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে কোনো প্রভাব পড়েনি।
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস
সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ হামলা গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোর নিরাপত্তা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে। বিশেষজ্ঞ প্রফেসর অ্যালান উডওয়ার্ডের মতে, সিস্টেম যদি আসলেই কেন্দ্রীয়ভাবে পরিচালিত হয়, তাহলে বিঘ্ন আরও বড় আকার নিতে পারে।
ইতোমধ্যে কয়েকজন যাত্রীও চরম ভোগান্তির শিকার হয়েছেন। হ্যাম্পশায়ারের এক যাত্রী জানিয়েছেন, আবুধাবি হয়ে থাইল্যান্ড যাওয়ার ইত্তিহাদ ফ্লাইট তিন ঘণ্টা বিলম্বিত হয় এবং লাগেজ চেক-ইনে হাতে লেখা ট্যাগ ব্যবহার করতে হয়।
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, হামলাকারীরা হয়তো বেছে বেছে কিছু বিমানবন্দরকে লক্ষ্য করেছেন। পরিস্থিতি দ্রুত সমাধান না হলে এর প্রভাব আরও বিস্তৃত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।