পিআর চাইলে জনগণের কাছে যান: ডা. জাহিদ হোসেন

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০:০৭
শেয়ার :
পিআর চাইলে জনগণের কাছে যান: ডা. জাহিদ হোসেন

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, ‘পিআর চাইলে জনগণের কাছে যান আপনারা। আলোচনার টেবিলকে অবিশ্বাস করে যারা মাঠে নেমেছে তারা চায় নির্বাচন পিছিয়ে যাক।’

আজ শনিবার বিকেলে মৌলভীবাজার শিল্পকলা একাডেমীতে পৌর বিএনপির দ্বি -বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জাহিদ আরও বলেন, ‘অনেকে অনেক কথা বলেন। কেউ বলছেন পিআর ছাড়া নাকি জাতীয় নির্বাচন হবে না এবং পিআর পদ্ধতিতে না হলে শাসক নাকি স্বৈরাচারী হয়ে যায়। আমাদের জানতে ইচ্ছা করে, বাংলাদেশের সংবিধানে কোথাও কি স্বৈরাচার হওয়ার কথা লেখা ছিল? সংবিধানের তো কোনো দোষ নেই, দোষ হচ্ছে যারা দিনের ভোট রাতে করেছেন। যারা বিনা ভোটে নির্বাচন করেছেন, যারা ডামি নির্বাচন করেছেন, দেশটাকে নিজের পৈত্রিক সম্পত্তির মতো ব্যবহার করার চেষ্টা করেছেন, দোষ তো তাদের। দোষ তো সংবিধানের নয়। সংবিধানে তো ভালো ভালো কথা লেখা ছিল।’  

মৌলভীবাজার পৌর বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মমশাদ আহমদের সভাপতিত্বে ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো.আব্দুর রহিম রিপনের পরিচালনায় এদিন প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক জি কে গউছ, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ সিদ্দীকি, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক এমপি এম নাসের রহমান, সম্মেলনের উদ্বোধক জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো.ফয়জুল করিম ময়ূন। এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ভিপি মিজানুর রহমান, মৌলভী আব্দুল ওয়ালী সিদ্দিকী ও আব্দুল মুকিত।

সম্মেলনের শুরু হওয়ার আগে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফয়জুল করিম ময়ূন প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দকে নিয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।

এদিন সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন শেষে বিকেল ৪টার দিকে দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু হয়। কাউন্সিল অধিবেশনে গোপন ব্যালটে নেতৃত্ব নির্বাচিত করার জন্য পৌর বিএনপির সভাপতি, সিনিয়র সহ-সভাপতি, সম্পাদক, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মোট ১৬ জন প্রার্থী অংশ নেন। মৌলভীবাজার পৌরসভার মোট ৯টি ওয়ার্ডে ৬৩৯ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার উৎসবমুখর পরিবেশে প্রয়োগ করেছেন। দীর্ঘদিন পর গোপন ব্যালটে গনতান্ত্রিক পরিবেশে বিএনপির আগামীর নেতৃত্ব নির্বাচিত করার দায়িত্ব পাওয়াতে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা উৎসবমুখর পরিবেশে কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে ভোট দিয়েছেন। এ মুহূর্তে ভোট গ্রহণ শেষে গণনা চলছে বলে জানা গেছে।