বিসিএস পরীক্ষায় ডিভাইস নিয়ে প্রবেশের চেষ্টা, সোলায়মান কারাগারে
অসদুপায় অবলম্বন করতে বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশে চেষ্টার সময় গ্রেপ্তার সোলায়মান ইসলামকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ শনিবার ঢাকার মেট্টোপলিটন মাজিস্ট্রেট জি এম ফারহান ইশতিয়াক শুনানিতে রিমান্ড ও জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা লালবাগ থানার এসআই আব্দুর রাজ্জাক এ আসামির পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
সোলায়মান ইসলামের পক্ষে আইনজীবী মিজানুর রহমান রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন চান। শুনানিতে তিনি বলেন, ‘এ আসামি একজন বিসিএস পরীক্ষার্থী। তিনি ভুলবশত ডিভাইসটি সঙ্গে এনেছিলেন। এ বয়সের শিক্ষার্থীদের কাছে এমনিতেও বিভিন্ন ডিভাইস থাকে। ডিভাইস আনা অপরাধ, বিষয়টি তিনি জানতেন না। এটা একটা অনিচ্ছাকৃত ঘটনা। আসামির বয়স ২৭ বছর। তার একটি উজ্জ্বল ক্যারিয়ার আছে। একটা ভুলের কারণে কারাগারে আটক রাখা হলে তার ভবিষ্যৎ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। রিমান্ড বাতিল করে জামিনের প্রার্থনা করছি।’
মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, গতকাল শুক্রবার বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের অধীনে অনুষ্ঠেয় ৪৭তম বিসিএস পরীক্ষার কেন্দ্র নং ৪৮, ইডেন মহিলা কলেজে পরিদর্শক হিসেবে দায়িত্ব পান
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
পরিক্ষীত মধু। পরীক্ষা শুরুর আগে কলেজের ১ নং গেটে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে চেক করার সময় সোলায়মান ইসলামের দুই পায়ের গোড়ালির ওপরে স্কচটেপ দিয়ে আটকানো অবস্থায় অসদুপায় অবলম্বনের জন্য আনা দুটি ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস/চিপ, তিনটি এয়ার ফোন ও একটি এডমিড কার্ড পাওয়া যায়। এসব জব্দ করে সঙ্গে সঙ্গে তাকে আটক করা হয়।
প্রাথমিকভাবে পরীক্ষা করে দেখা যায়, এটির মাধ্যমে পরীক্ষাকেন্দ্রের বাইরে যেকোনো স্থানে অবস্থানরত এক বা একাধিক অজ্ঞাতনামা আসামি এমসিকিউ প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিল। এ ধরনের উন্নত প্রযুক্তির ডিভাইজ দেখে প্রতীয়মান হয়, একটি সংঘবদ্ধ চক্র এ অপরাধের সঙ্গে জড়িত আছে। শেষ মুহূর্তে ভিড়ের সুযোগে অন্য কেন্দ্রেও এরূপ ডিভাইজসহ প্রার্থী প্রবেশ করার আশঙ্কা রয়েছে। সংঘবদ্ধ চক্রটিকে গ্রেপ্তার করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আটক যুবকের কাছ থেকে সংঘঠিত অপরাধটি গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা প্রয়োজন। এ আসামিসহ অজ্ঞাতনামারা পরস্পরের সহায়তায় ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে অপরাধমূলক বিশ্বাস ভঙ্গ করে প্রতারণা করার অপরাধ করেছেন।