জাতিসংঘে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী /
সংঘাত নয়, কূটনীতিই একমাত্র পথ
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে সংঘাত নয়, বরং কূটনীতি বেছে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘ইউরোপের তিন দেশকে (ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানি) তিনি একটি কার্যকর ও যুক্তিসঙ্গত প্রস্তাব দিয়েছেন, যা একটি অপ্রয়োজনীয় সংকট এড়াতে পারে।’
প্রেস টিভির প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, নিরাপত্তা পরিষদের এক বৈঠকের আগে আরাগচি এ মন্তব্য করেন। ওই বৈঠকে আলোচনায় আসে ২০১৫ সালের ইরান পরমাণু চুক্তির (জেসিপিওএ) তথাকথিত ‘স্ন্যাপব্যাক মেকানিজম’ সক্রিয় করার প্রসঙ্গ।
ইরানের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক কর্মসূচির ওপর পুনরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে কি না, এ নিয়ে পরিষদ আজ শুক্রবার ভোট দেবে। ভোট আহ্বান করেছে ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানি- যারা চুক্তির স্বাক্ষরকারীও ছিল। তাদের অভিযোগ, ইরান চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করেছে।
আরাগচি বলেন, ‘প্রস্তাবের মূল বিষয়গুলোতে আলোচনায় না গিয়ে ইউরোপীয় পক্ষ নানা অজুহাত দিচ্ছে। এমনকি কেউ কেউ দাবি করেছে, ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পুরো রাজনৈতিক কাঠামোর প্রতিনিধিত্ব করে না।’
আরও পড়ুন:
রোগীর পেটে জীবন্ত মাছি!
এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘আমার প্রস্তাবের যৌক্তিকতা ফরাসি প্রেসিডেন্টও স্বীকার করেছেন। তবে আন্তর্জাতিক মহলকে জানাতে চাই, আমার প্রস্তাবের পেছনে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সব প্রতিষ্ঠান, এমনকি সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদেরও সমর্থন রয়েছে।’
অন্যদিকে, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ইসরায়েলের এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, চলতি মাসের শেষ নাগাদ ইরানের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল হবে বলে তিনি আশা করছেন।
আরাগচি জোর দিয়ে বলেন যে, ‘জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের উচিত সংঘাতের বদলে কূটনীতিকে অগ্রাধিকার দেওয়া।’
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস
তিনি জানান, ইরান ইতোমধ্যেই তার দায়িত্ব পালন করেছে। এ জন্য জাতিসংঘের পরমাণু সংস্থার (আইএইএ) সঙ্গে নতুন সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে এবং একটি ভারসাম্যপূর্ণ প্রস্তাব দিয়েছে, যা প্রকৃত উদ্বেগ মোকাবিলা করার পাশাপাশি উভয় পক্ষের জন্য লাভজনক।
তিনি ইরানের প্রস্তাবকে ‘সৃজনশীল, ন্যায়সঙ্গত ও ভারসাম্যপূর্ণ’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে বলেন, ‘এর বাস্তবায়ন হলে অচিরেই মূল মতপার্থক্যগুলো মিটে যাবে এবং সম্ভাব্য সংকট এড়ানো সম্ভব হবে।’
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এখনো অগ্রগতির সুযোগ আছে, তবে শুধু ইরান এককভাবে সব দায়িত্ব নিতে পারে না।’
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস