টিউলিপের ‘মিথ্যাচার’ নিয়ে ব্রিটিশ গণমাধ্যমে তোলপাড়
ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্নি টিউলিপ সিদ্দিককে কেন্দ্র করে ফের বিতর্কের মুখে পড়েছে যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন লেবার পার্টি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমগুলোতেও লেবার পার্টির সাবেক দুর্নীতিবিরোধী প্রতিমন্ত্রীর বাংলাদেশি পাসপোর্ট ও জাতীয় পরিচয়পত্র থাকার বিষয়টি নিয়ে প্রকাশিত হয়েছে একাধিক প্রতিবেদন। বাংলাদেশি জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্ট থাকা সম্পর্কে ক্ষমতাসীন দলের এমপি টিউলিপ দাবি করেছিলেন, এসব অভিযোগ মিথ্যা। তবে অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে, টিউলিপের দাবির সত্যতা নেই, বরং তিনিই মিথ্যা বলেছেন।
বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যের ডেইলি মেইলে এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, টিউলিপ সিদ্দিকীর বাংলাদেশি পাসপোর্ট ও পরিচয়পত্র থাকা নিয়ে মিথ্যাচার করেছেন। তার বাংলাদেশি পাসপোর্ট ও পরিচয়পত্র থাকার প্রমাণ মিলছে, যা লেবার পার্টির এ এমপির আগের দাবির সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
বাংলাদেশের পাসপোর্ট অধিদপ্তরের ডাটবেজ অনুযায়ী, টিউলিপের নামে ২০০১ সালের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশি পাসপোর্ট ইস্যু করা হয়। তখন তার বয়স ছিল ১৯ বছর। ২০১১ সালের জানুয়ারিতে টিউলিপ সিদ্দিককে বাংলাদেশি জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) প্রদান করা হয়। তিনি বাংলাদেশের একজন ভোটার।
আরও পড়ুন:
রোগীর পেটে জীবন্ত মাছি!
বর্তমানে ৪৩ বছর বয়সী টিউলিপ যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশি মা-বাবার ঘরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। দ্বৈত নাগরিকত্বের সুযোগ থাকলেও তিনি দাবি করে আসছেন, আমি ব্রিটিশ, বাংলাদেশি নই। ২০১৭ সালে যুক্তরাজ্যে এক সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে টিউলিপ সিদ্দিক বলেছিলেন, আপনি কি আমাকে বাংলাদেশি বলছেন? আমি ব্রিটিশ, সাবধানে বলুন, আমি ব্রিটিশ এমপি...আমি বাংলাদেশি নই।
এছাড়াও চলতি বছরের ১২ আগস্ট যুক্তরাজ্যের ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে টিউলিপ সিদ্দিকের আইনি প্রতিনিধি বলেন, টিউলিপ কখনো বাংলাদেশি জাতীয় পরিচয়পত্র বা ভোটার আইডি পাননি এবং শৈশবের পর থেকে কোনো পাসপোর্টও রাখেননি।’
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস
এর আগে, ডেইলি মেইলে প্রকাশিত ‘বাংলাদেশে দুর্নীতি মামলায় টিউলিপের নাম’ শীর্ষক এক প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে গত জানুয়ারিতে দুর্নীতিবিরোধী প্রতিমন্ত্রী পদ ছাড়তে বাধ্য হন তিনি। মেইলের ওই প্রতিবেদন বলা হয়েছিল, টিউলিপ সিদ্দিক, তার মা রেহানা এবং দুই ভাইবোনের বিরুদ্ধে ঢাকার পূর্বাচলে অবৈধভাবে প্লট বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগে মামলা চলছে। এ মামলায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। ওই সময়ও অবশ্য এই লেবার এমপি ই ধরনের অনিয়মে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন।
টিউলিপ সিদ্দিকীর বাংলাদেশি পাসপোর্ট ও পরিচয়পত্র থাকা নিয়ে মিথ্যাচারের কারণে নতুন করে চাপের মুখে পড়তে পারেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার।
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস
ডেইলি মেইলের পাশাপাশি টিউলিপ ইস্যু নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্যের দ্য টাইমস, দ্য এক্সপ্রেস, স্কাই নিউজসহ আরও কিছু সংবাদমাধ্যম।