জামায়াত নেতার অপসারণ চেয়ে ‘জুলাই যোদ্ধা’ পরিবারের হুঁশিয়ারি

অনলাইন ডেস্ক
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২১:৪৫
শেয়ার :
জামায়াত নেতার অপসারণ চেয়ে ‘জুলাই যোদ্ধা’ পরিবারের হুঁশিয়ারি

মাগুরা জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির এম বি বাকেরের বিরুদ্ধে অর্থের বিনিময়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে জামায়াত কর্মী হিসেবে প্রত্যয়ন দেওয়ার অভিযোগ করেছেন মহম্মদপুরের জুলাই শহীদ ও আহত যোদ্ধাদের পরিবারের সদস্যরা।

আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় মহম্মদপুর প্রেসক্লাবে জুলাই যোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যরা এই সংবাদ সম্মেলন করেন। এসময় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জেলা আমিরকে পদ থেকে অপসারণ না করা হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তারা।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা জানান, শাহাবুদ্দিন মোল্লা পলাশবাড়িয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের পদধারী নেতা এবং জুলাই আন্দোলনে নিহত আহাদ-সুমনের হত্যা মামলার আসামি এবং তিনি এখন জেল হাজতে আছেন।

জুলাই আন্দোলনে শহীদ ও আহত পরিবারের সদস্যরা লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করেন, শাহাবুদ্দিনের জামিনে সহযোগিতা করার জন্য সে জামাতে ইসলামের কর্মী দাবি করে মাগুরা জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির এম বি বাকের মিয়া তাকে প্রত্যয়নপত্র প্রদান করেছেন। এর আগেও কয়েকজনকে এই ধরনের মিথ্যা প্রত্যয়নপত্র প্রদান করা হয়েছে, যার ফলে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বেশ কয়েকজন আসামি জামিনে মুক্তি পেয়েছে। 

বক্তারা এ ঘটনাকে শহীদদের আত্মত্যাগের সঙ্গে বেইমানি এবং প্রত্যয়নপত্রের মাধ্যমে ‘শহীদদের লাশ বিক্রি’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন।

তারা আরও বলেন, এটি জামায়াতে ইসলামীর দলীয় সিদ্ধান্ত নয় বরং ব্যক্তিস্বার্থে রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার। অনৈতিক আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে প্রত্যয়নপত্র প্রদান করায় জেলা জামায়াত আমিরের অপসারণের দাবি জানান তারা।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত শহীদ সুমনের মা বলেন, ‘জুলাই আন্দোলনে সন্তানহারা মা আমি। আমার সন্তানের হত্যার বিচার আজও পাইনি। অথচ জামায়াতের আমির হত্যাকারীদের মামলায় জামিনের জন্য প্রত্যয়নপত্র দিয়েছেন। এটি আমার সন্তানের লাশের সঙ্গে বেঈমানি।’

তিনি জেলা আমিরের এমন অনৈতিক কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানান এবং পদ থেকে অপসারণের জোর দাবি উত্থাপন করেন।

অন্যদিকে, অভিযোগের বিষয়ে অধ্যাপক এম বি বাকের হোসেন বলেন, ‘আমার কাছে অনেকেই প্রত্যয়ন নিতে আসে। কয়েকজন তাদের প্রকৃত পরিচয় গোপন করে আমার কাছ থেকে প্রত্যয়নপত্র নিয়েছে। পরে জানা গেছে, তাদের মধ্যে আওয়ামী পরিবারের সদস্য, দলীয় পদধারী এবং আহাদ-সুমন হত্যা মামলার আসামি ছিল। এটি আমার অনাকাঙ্ক্ষিত ভুল।’