সাক্ষাৎকার /
ক্যারিয়ারে নতুন অভিজ্ঞতা যোগ করেছে উপস্থাপনা
ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী সাদিয়া আয়মান। নাটক, ওটিটির পাশাপাশি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। কদিন আগে দেখা গেছে উপস্থাপকের ভূমিকায়ও। সম্প্রতি ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকিতে মুক্তি পেয়েছে তার অভিনীত ফ্ল্যাশ ফিকশন ‘অন্ধ বালক’। সাম্প্রতিক ব্যস্ততা ও অন্যান্য প্রসঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন- জাহিদ ভূঁইয়া
গতানুগতিক গল্পের চেয়ে ‘অন্ধ বালক’-এর কাহিনি কতটা আলাদা মনে হয়েছে?
প্রেম ও পরিণতির গল্প হলেও এই ফ্ল্যাশ ফিকশনের যাত্রাপথ আলাদা। এখানে ভাগ্য, ভবিষ্যদ্বাণী, বিশ্বাস-অবিশ্বাসের টানাপড়েন রয়েছে। তাই ‘অন্ধ বালক’ কেবল ভালোবাসার গল্প নয়, ভেতরে লুকিয়ে আছে অনিশ্চয়তার ছায়া। এতে আমার চরিত্রের নাম দিনা। যে কিনা অর্ককে ভালোবাসে, আবার বাবারও ভীষণ বাধ্য সন্তান। বাবার সঙ্গে অর্কর নানা সমীকরণের মধ্য দিয়েই এগিয়ে যেতে থাকে দিনা। ভিকি জাহেদের পরিচালনায় ফিকশনে আমার সহশিল্পী তৌসিফ মাহবুব। দর্শক সব সময় আমাদের জুটি ভালোবাসে, এবারও তা হবে বলেই বিশ্বাস করি।
কদিন আগেই উপস্থাপকের খাতায় নাম লিখিয়েছেন। কেমন অভিজ্ঞতা হলো?
এত দিন বিভিন্ন অনুষ্ঠানে, সাক্ষাৎকারে শুরুতেই আমাকে পরিচয় করিয়ে দিত সঞ্চালক। এবার আমিই অন্যদের পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি। এটা আসলেই ভিন্ন অভিজ্ঞতা। আমরা যারা শোবিজে কাজ করি, নিজেদের ইন্ডাস্ট্রির বাইরের কারও সঙ্গে তেমন মিশতে পারি না। ব্রিটিশ কাউন্সিলের ‘কানেকশন আনলকড’ নামের পডকাস্টের মাধ্যমে অন্যান্য সেক্টরের মানুষদের সঙ্গে পরিচিত হচ্ছি। আলোচনার বিষয়ও ভিন্ন। এই অনুষ্ঠানে উপস্থাপনা ক্যারিয়ারে নতুন অভিজ্ঞতা যোগ করেছে।
আরও পড়ুন:
ওটিটি প্ল্যাটফরম আমার জন্য বেশ লাকি
অনুষ্ঠানের জন্য কি আলাদা প্রস্তুতি নিতে হয়েছে?
যারাই এখানে অতিথি হয়েছেন, সবাই নেপথ্যের মানুষ। ফলে প্রস্তুতির একটা বিষয় তো অবশ্যই ছিল। অতিথিদের সঠিক প্রশ্ন করতে পারব কিনা, এটা নিয়েও ভাবনার মধ্যে ছিলাম। প্রত্যেক অতিথির বিষয়ে পড়াশোনা পর্যন্ত করতে হয়েছে। এত দিন শুধু অভিনয় নিয়েই ছিলাম। এর বাইরে তেমন কিছু নিয়ে ভাবিনি। এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নতুন করে অনেক বিষয়ে জানার সুযোগ হয়েছে। এটা ভবিষ্যতে কাজে লাগবে।
নাটকে ইদানীং কম দেখা যায়। কারণ কী?
আরও পড়ুন:
ফের জুটি হলেন মম-শ্যামল
ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই কিন্তু নাটক কমিয়েই করি। সব সময় ভালো গল্প খুঁজি, মানের দিকে বেশি ফোকাস করি। আমি মনে করি, সেটাই অধিক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ দিনশেষে দর্শক ভালো গল্পই মনে রাখে।
অনেক তারকাই মাল্টিকাস্টিং গল্পে কাজ করতে আগ্রহ দেখান না। অথচ আপনি তেমন কিছু কাজ করেই প্রশংসা কুড়িয়েছেন। এ প্রসঙ্গে জানতে চাই...
সব সময় বিশ্বাস করি, অভিনয় যদি ভালো হয়, তাহলে দর্শক আমাকে ঠিকই খুঁজে নেবে। একটি কাজে কতজন শিল্পী কাজ করছেন, সেটা মুখ্য নয়। বরং এটা জরুরি যে, আপনি কেমন করছেন! মাল্টিকাস্টিং কাজ তো আমাদের দেশে এমনিতেই কম হয়। আমি মনে করি, এ ধরনের কাজ আরও বেশি হওয়া উচিত। একটি কাজে যখন ভালো শিল্পীরা যুক্ত হন, তখন সেই কাজের মানও বেড়ে যায়। দর্শকের কাছে আরও বেশি উপভোগ্য হয়। ‘কাজলরেখা’, ‘বোহেমিয়ান ঘোড়া’ কিংবা ‘উৎসব’-এর দর্শক প্রতিক্রিয়া সেটাই প্রমাণ করে।
সিনেমা নিয়ে ভাবনা কী?
আরও পড়ুন:
মারা গেলেন পরীমনির নানা
‘কাজলরেখা’ ও ‘উৎসব’ সিনেমা নিয়ে দর্শকের ভালো রেসপন্স পেয়েছি। আমি চাই বড়পর্দায় আগামীতে কাজ করলেও যেন সেটা অব্যাহত থাকে। গুরুত্বপূর্ণ আরেকটি বিষয় হলো- ভালোর জন্য কিন্তু ছাড়ও দিতে হয়। আমি ভালো গল্প ও চরিত্রের অপেক্ষায় আছি।