শ্বাসরোধে হত্যার পর হাসপাতালে স্ত্রীর মরদেহ, স্বামীর যাবজ্জীবন

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৬:৩৪
শেয়ার :
শ্বাসরোধে হত্যার পর হাসপাতালে স্ত্রীর মরদেহ, স্বামীর যাবজ্জীবন

সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী সুমাইয়া সুরুভিকে শ্বাসরোধ করে হত্যার দায়ে ইসমাইল হোসেনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে তাকে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সিরাজগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক বেগম সালমা খাতুন এই রায় প্রদান করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত ইসমাইল হোসেন কামারখন্দ উপজেলার পাইকোশা গ্রামের আবু তালহার ছেলে। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিরাজগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর পিপি মো. মাসুদুর রহমান।

পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, কামারখন্দ উপজেলার পাইকোশা গ্রামের আব্দুল মজিদ সরকারের মেয়ে সুমাইয়া সুরুভির সঙ্গে একই গ্রামের ইসমাইল হোসেনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ভালোবাসার টানে তারা পরিবারের অমতে পালিয়ে বিয়ে করেন। কিন্তু বিয়ের কিছু দিন পর থেকেই যৌতুকের জন্য ইসমাইলের পরিবার সুমাইয়ার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২০ সালের ১৯ জুন ইসমাইল হোসেন তার স্ত্রী সুমাইয়াকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।

এরপর ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য স্ত্রীর মরদেহ সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে রেখে ইসমাইল ও তার পরিবারের সদস্যরা পালিয়ে যায়।

এ ঘটনার পরদিন নিহতের ভাই আবু হানিফ সরকার বাদী হয়ে কামারখন্দ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় ইসমাইল হোসেন, তার বাবা আবু তালহা এবং মা সাহিদা বেগমকে আসামি করা হয়।

মামলার তদন্ত, সাক্ষ্যগ্রহণ এবং উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে আদালত এই রায় ঘোষণা করেন। তবে মামলার অন্য দুই আসামি ইসমাইলের বাবা ও মাকে খালাস দেওয়া হয়েছে।