নুরাল পাগলের চুরি যাওয়া বাড়ির মোটরসহ গ্রেপ্তার ১

রাজবাড়ী প্রতিনিধি
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:৩৮
শেয়ার :
নুরাল পাগলের চুরি যাওয়া বাড়ির মোটরসহ গ্রেপ্তার ১

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার এক সময় ইমাম মাহাদী দাবিকারী নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগলার কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন করে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এ সময় বাড়িতে ভাংচুর ও লুটপাট হয়। বাড়ী থেকে মোটর চুরি করে নেওয়া মোটরসহ মো. মিজানুর রহমানকে (২৪) পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। তিনি রাজবাড়ী সদর উপজেলার লক্ষীকোল সোনাকান্দর গ্রামের হারুনুর রশিদের ছেলে। 

গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাজবাড়ী সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়ন থেকে জেলা গোয়েন্দা শাখা ( ডিবি) ও গোয়ালন্দ থানা পুলিশের যৌথ টিম তাকে চুরি যাওয়া জেনারেটরসহ গ্রেপ্তার করে।

আজ বৃহস্পতিবার তাকে রাজবাড়ী আদালতে সোপর্দ করা হবে বলে জানিয়েছেন রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( ক্রাইম এন্ড অপস) মো. শরীফ আল রাজীব। 

জানা গেছে, গত সোমবার রাতে নুরাল পাগলের ভক্ত নিহত রাসেল মোল্লার বাবা আজাদ মোল্লা বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামা ৩৫০০-৪০০০ জনকে আসামি করে গোয়ালন্দ থানায় হত্যাসহ অগ্নিসংযোগ, লাশ পোড়ানো, ক্ষতিসাধন, চুরি, জখম এর অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে। 

এর আগে গত শক্রবার রাতে গোয়ালন্দ ঘাট থানার এসআই সেলিম মোল্লা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ৩৫০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। 

শুক্রবার জুম্মাবাদ গোয়ালন্দ উপজেলা আনসার ক্লাব চত্বরে জনতা একত্রিত হয়। পরে নুরাল পাগলের আস্থানায় হামলা করে। এসময় পুলিশের দুটি গাড়ী, ইউএনওর গাড়ী ভাংচুর করে। আগুন ধরিয়ে দেয় মাজারে। এ সময় নুরাল পাগলের অনুসারী ও উত্তেজিত জনতার ইট, পাথর নিক্ষেপে পুলিশসহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। পরে উত্তেজিতরা কবর থেকে লাশ উত্তোলন করে পদ্মার মোড়ে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় নুরাল পাগলের মরদেহ। এ সময় নুরাল পাগলের ভক্ত রাসেল মোল্লাকে পিটিয়ে ছাদ থেকে ফেলে দিয়ে হত্যা করে। 

গত ২৩ আগস্ট নুরাল পাগলার মৃত্যু পর তার পরিবারের সিদ্ধান্তে তাকে তার নিজ বাড়ির সামনের অংশে দুইতলা সমান (প্রায় ১২ ফুট উঁচু) একটি কাঠামোর ভেতরে কবরস্থ করা হয়। পরে কবরটিকে কাবা শরীফের আদলে রং করা হয় এবং ‘হযরত ইমাম মাহদী (আ.) দরবার শরীফ’ লেখা ব্যানার টাঙানো হয়৷ স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মধ্যে চরম অসন্তোষ সৃষ্টি করে।