দ্রুতই ঐকমত্যের জায়গায় উপনীত হওয়ার আশা আলী রীয়াজের
দ্রুততম সময়ের মধ্যেই রাজনৈতিক দলগুলো জুলাই সনদ পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের সিদ্ধান্তে একমত হতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ। তিনি বলেছেন, ‘গণভোট ও সাংবিধানিক আদেশ এই দুটো বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে ভিন্নমত ছিল তা কাটিয়ে উঠে বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে দ্রুতই ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারবে তারা।’
আজ বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ২৯টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. আলী রীয়াজ বলেন, ‘বিশেষজ্ঞরা চারটি পদ্ধতিতে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পরামর্শ দিয়েছেন। তারা বলছেন- অধ্যাদেশ, নির্বাহী আদেশ, গণভোট ও বিশেষ সাংবিধানিক আদেশের মাধ্যমে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করা যেতে পারে।’
কমিশনের সহ-সভাপতি আরও বলেন, ‘জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগ দিতে প্রধান উপদেষ্টা ২১ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে যাবেন এবং ২ অক্টোবর তিনি দেশে ফিরে আসবেন।’
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
তিনি বলেন, ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়নের বিষয়ে ২১ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে চায় কমিশন। তবে ব্যর্থ হলে তা ২ অক্টোবরের পরে চলে যেতে পারে।’
এর আগে গত রোববার বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক করে ঐকমত্য কমিশন। সেখানে জুলাই ঘোষণাপত্রের ২২ ধারা অনুযায়ী সংবিধান আদেশের মাধ্যমে জুলাই সনদের সাংবিধানিক সম্পর্কিত বিষয়গুলো বাস্তবায়নের পরামর্শ দেন তারা।
বিশেষজ্ঞদের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকার জুলাই সনদে মৌলিক সংস্কারগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করে জুলাই ঘোষণাপত্রের ২২ অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে একটি সংবিধান আদেশ জারি করতে পারে। সেক্ষেত্রে এ আদেশ তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হবে।
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা আরও বলেন, সংবিধান আদেশকে একটি গণভোটে উপস্থাপন করা যেতে পারে, যা আগামী সাধারণ নির্বাচনের একই দিনে অনুষ্ঠিত হবে। সংবিধান আদেশে গণভোটের বিধানও অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। যদি সংবিধান আদেশ জনগণের অনুমোদন পায় গণভোটের মাধ্যমে, তবে তা প্রণয়ন তারিখ থেকেই বৈধ বলে গণ্য হবে।
এদিকে গত সোমবার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ বাড়িয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। কমিশনের মেয়াদ আগামী ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।