ব্যাটিংয়ে সাকিবের ঝড়, তবু বিদায় অ্যান্টিগার

স্পোর্টস ডেস্ক
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:১৩
শেয়ার :
ব্যাটিংয়ে সাকিবের ঝড়, তবু বিদায় অ্যান্টিগার

ব্যাটিংয়ে নেমেছিলেন ইনিংসের শেষ দিকে, ১৮তম ওভারে। এমন পরিস্থিতিতে নামা মানেই দ্রুত রান তোলার চাপ, আর সেই কাজটাই নিখুঁতভাবে করলেন অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার। মাত্র ৯ বলেই ২৬ রান করে অপরাজিত থাকলেন সাকিব, যেটা ছিল ম্যাচের সবচেয়ে দ্রুতগতির ইনিংসের একটি।

সাকিবের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে অ্যান্টিগা অ্যান্ড বারবুডা ফ্যালকনস স্কোরবোর্ডে তোলে ৮ উইকেটে ১৬৬ রান। তবে জয়ের জন্য সেটা যথেষ্ট হয়নি। নিকোলাস পুরান ও অ্যালেক্স হেলসের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্স ১৫ বল হাতে রেখেই ম্যাচ জিতে নেয় ৯ উইকেটের ব্যবধানে। সেই সঙ্গে সিপিএল ২০২৫ থেকে বিদায় নেয় সাকিবের দল।

সাকিবের ইনিংসটি ছিল মূলত সুনীল নারাইনের এক ওভারে ধ্বংসযজ্ঞ। ওই ওভারে প্রথম বলটি খেলেন ডট, পরের তিনটি বলেই হাঁকান তিন চার, এরপর এক ছক্কা—সব মিলিয়ে নারাইনের ৫ বলে তুলে নেন ১৮ রান। এই আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়েই ইনিংসের শেষ দিকে দলের রানটা একটা লড়াই করার মতো জায়গায় পৌঁছায়।

অবশ্য নারাইনও সেই ম্যাচে গড়েছেন রেকর্ড। ৪ ওভারে ৩৬ রান দিয়ে ১ উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি তিনি সিপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি উইকেট নেওয়া বোলার হয়েছেন—তার উইকেট সংখ্যা এখন ১৩০, পেছনে ফেলেছেন ডোয়াইন ব্রাভোর ১২৯ উইকেটকে।

এর আগে ফ্যালকনসের ব্যাটিংয়ে আমির জাঙ্গু (৫৫) ও আন্দ্রেস গাউস (৬১) দ্বিতীয় উইকেটে গড়েন ১০৮ রানের বড় জুটি, যা দলের ইনিংসের মেরুদণ্ড হয়ে দাঁড়ায়। তবে মিডল অর্ডারে ব্যর্থতায় ম্যাচ থেকে কিছুটা ছিটকে যাচ্ছিল দলটি, তখনই ঝড় তোলেন সাকিব।

বল হাতে অবশ্য তেমন কিছু করতে পারেননি বাংলাদেশের এই তারকা। ৩ ওভারে দেন ২৪ রান, উইকেট ছিল না কোনো।

রান তাড়ায় শুরুটা সতর্কভাবেই করে নাইট রাইডার্স। তবে দ্বিতীয় উইকেটে পুরান ও হেলস মিলে ৮৬ বলে ১৪৩ রানের জুটি গড়লে ম্যাচ বের করে নেয় ত্রিনবাগো। পুরান খেলেন ৫৩ বলে ৯০ রানের বিধ্বংসী ইনিংস, অপরপ্রান্তে হেলস ছিলেন ৪০ বলে ৫৪ রানে অপরাজিত।

বল হাতে অ্যান্টিগার হয়ে সবচেয়ে সফল ছিলেন সৌরভ নেত্রভালকার (৩ উইকেট) এবং উসমান তারিক (২ উইকেট)। কিন্তু ব্যাটে-বলে পুরানদের দাপটের সামনে তা যথেষ্ট হয়নি।