এলডিসি থেকে উত্তরণ পেছাতে চাইছে সরকার, প্রতিযোগী দেশ থেকে বাধা আসছে
বাংলাদেশ সরকার স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উত্তরণের সময়সীমা পিছিয়ে দিতে কাজ করছে বলে জানালেন বাণিজ্যসচিব মাহবুবুর রহমান। তবে এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রতিযোগী কয়েকটি দেশ থেকে বাধা আসছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীতে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা র্যাপিড আয়োজিত এক কর্মশালায় ‘এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন’ নিয়ে এসব কথা বলেন বাণিজ্যসচিব।
মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আমরা আশা করি যে আমরা যতটা ভয় পাচ্ছি, গ্র্যাজুয়েশন সামনে রেখে...হ্যাঁ ডেফিনেটলি আমি গত পরশু একটা বিদেশি টিমের সাথে কথা বলেছি গ্র্যাজুয়েশন ডেফার করার জন্য। এটা আমরা একটু লো ভয়েসে করছি।’
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
এ বিষয়ে কেন আশাবাদী হতে পারছেন না, এমন প্রশ্নে ব্যাখ্যা দিয়ে বাণিজ্যসচিব বলেন, এলডিসি থেকে উত্তরণের সময় পেছাতে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ভোটের মাধ্যমে প্রস্তাব আনতে হয়। বাংলাদেশ ইতিমধ্যে একবার এনেছে। এখন নতুন করে আনার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রতিযোগী দেশ থেকেও বাধা আসছে। সে কারণে এ বিষয়ে খুব বেশি আশাবাদী না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশের সাথে যারা কম্পিট করে, তাদের মধ্যে সবচেয়ে বন্ধু দেশ যাদের আপনারা অ্যাপারেন্টলি মনে করেন, তারাই প্রথম আমাদের এটার বিরোধিতা করে। জাপান বিরোধিতা করে, টার্কি বিরোধিতা করে, ইন্ডিয়া বিরোধিতা করে, আমেরিকা বিরোধিতা করে।’
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
তিনি বলেন, ‘আপনি তাহলে কীভাবে সাধারণ পরিষদের সেশনে পাস করাবেন? কাজেই আমরা তাদেরই (ভারত, জাপান, তুরস্ক ও যুক্তরাষ্ট্র) টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স নিচ্ছি। এই যে যারা যারা বিরোধিতা করছে, তাদের দিক থেকে নেওয়ার চেষ্টা করছি। সো দ্যাট তারা বিরোধিতাটা না করে।’
বাণিজ্যসচিব বলেন, ‘আমরা এটা চেষ্টা করছি যে ধীরে ধীরে অগ্রসর করে এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন করতে। যদি আমরা তিন বছর ডেফার করতে পারি, তাহলে সেটা আমাদের অর্থনীতির জন্য খুবই ভালো হবে। আমরা কাজ করছি। সে বিষয়ে এক্সপার্টদের ওপিনিয়ন নিচ্ছি।...আশা করি যে আমরা চেষ্টার কোনো ত্রুটি করব না।’