শুক্রবার ২৫৬ কেন্দ্রে হবে ৪৭তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা
৪৭তম বিসিএস পরীক্ষার প্রিলিমিনারি টেস্ট (এমসিকিউ টাইপ) আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। দেশের আট বিভাগীয় শহর ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহে এই আট বিভাগীয় শহরের মোট ২৫৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একযোগে এ পরীক্ষা নেওয়া হবে।
গতকাল সোমবার বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (বিপিএসসি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিপিএসসি জানিয়েছে, পরীক্ষার্থীরা অবশ্যই সকাল ৯টা ৩০ মিনিটের মধ্যে হলে প্রবেশ করবেন। এরপর গেট বন্ধ হয়ে যাবে, দেরিতে কোনো পরীক্ষার্থী হলে প্রবেশ করতে পারবেন না। পরীক্ষার্থীর আসন বিন্যাস, সময়সূচি ও কেন্দ্রসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য কমিশনের ওয়েবসাইট (www.bpsc.gov.bd) ও টেলিটকের ওয়েবসাইটে (bpsc.teletalk.com.bd) পাওয়া যাবে। একই সঙ্গে মেসেজের মাধ্যমেও মোবাইলে জানিয়ে দেওয়া হবে।
পরীক্ষা সংক্রান্ত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, প্রবেশপত্রে উল্লিখিত তথ্য ও ছবির সঙ্গে হাজিরা তালিকার ছবি ও স্বাক্ষর যাচাই করা হবে। কোনো গরমিল পাওয়া গেলে প্রার্থিতা বাতিলসহ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রশ্নপত্র ও উত্তরপত্রে চারটি সেট থাকবে- ১, ২, ৩ ও ৪। পরীক্ষার্থী যে সেট নম্বরের উত্তরপত্র পাবেন, তাকে সে সেট নম্বরের প্রশ্নপত্র দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
আর প্রশ্নপত্রে মোট ২০০টি এমসিকিউ থাকবে। প্রতিটি সঠিক উত্তরে এক নম্বর এবং প্রতিটি ভুল উত্তরে শূন্য দশমিক পাঁচ নম্বর কাটা যাবে। পরীক্ষার সময়সীমা দুই ঘণ্টা। পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা চলাকালে কক্ষ ত্যাগ করতে পারবেন না।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বই-পুস্তক, ঘড়ি, মোবাইল ফোন, ক্যালকুলেটর, ব্যাগ, গহনা ও সব ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস পরীক্ষা কেন্দ্রে আনা যাবে না। পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশের সময় মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে তল্লাশি করা হবে। কোনো পরীক্ষার্থী এ ধরনের নিষিদ্ধ সামগ্রীসহ হলে প্রবেশ করলে কিংবা নকলের সঙ্গে জড়িত থাকলে তার প্রার্থিতা বাতিল হবে এবং আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অন্যদিকে, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের জন্য শ্রুতিলেখক দেওয়া হবে এবং তাদের জন্য প্রতি ঘণ্টায় ১০ মিনিট অতিরিক্ত সময় দেওয়া হবে। অন্য প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের জন্য বাড়তি সময় দেওয়া হবে প্রতি ঘণ্টায় ৫ মিনিট। প্রবেশপত্র ছাড়া কোনো পরীক্ষার্থী হলে প্রবেশ করতে পারবেন না। প্রবেশপত্র হারিয়ে গেলে কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে নতুন করে ডাউনলোড করে নেওয়া যাবে।
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
এতে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, যেসব পরীক্ষার্থী ইংরেজি ভার্সনে পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন, তাদের জন্য আলাদা আসন বিন্যাস ও প্রশ্নপত্র ছাপানো হয়েছে। তাই কারও জন্য ভার্সন পরিবর্তনের সুযোগ নেই। তাদের অবশ্যই নির্ধারিত কেন্দ্রে ইংরেজি ভার্সনের পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পরীক্ষায় অনিয়ম, গরমিল বা অসদাচরণের প্রমাণ পাওয়া গেলে ৪৭তম বিসিএস পরীক্ষার প্রার্থিতা বাতিল করা হবে এবং বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন আইন, ২০২৩ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।