বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি, তিস্তার পানি বিপৎসীমার নিচে

লালমনিরহাট প্রতিনিধি
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৬:২৮
শেয়ার :
বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি, তিস্তার পানি বিপৎসীমার নিচে

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা কয়েকদিনের ভারী বর্ষণে লালমনিরহাট জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার ২৪ ঘণ্টা পর বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তিস্তা ও অন্যান্য নদ-নদীর পানি ধীরে ধীরে কমতে শুরু করায় ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাট থেকে পানি নেমে যাচ্ছে। তবে বন্যার কারণে পাঁচ উপজেলার অন্তত ৪ হাজার মানুষ এখনো পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, তিস্তা নদীর পানি বর্তমানে বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ কারণে সাময়িক স্বস্তি ফিরলেও পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে আরও সময় লাগবে।

পানি বাড়ার কারণে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম, হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ, আদিতমারী ও সদর উপজেলার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বিশেষ করে পাটগ্রামের গড্ডিমারী, দোয়ানী, ছয়আনী, সানিয়াজান, সিঙ্গামারি, সিন্দুর্না, হলদিবাড়ী ও ডাউয়াবাড়ী, কালীগঞ্জের ভোটমারী, শৈইলমারী ও নোহালী, আদিতমারীর মহিষখোচা, গোবর্ধন, কালমাটি, বাহাদুরপাড়া ও পলাশী এবং সদর উপজেলার ফলিমারী, খুনিয়াগাছ, কুলাঘাট, মোগলহাট, রাজপুর, বড়বাড়ী ও গোকুন্ডা ইউনিয়নে নিচু এলাকায় পানি প্রবেশ করেছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, অনেক বাড়িতে এখনো রান্নার উপযোগী পরিবেশ তৈরি হয়নি। বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট বিরাজ করছে। ত্রাণ ও চিকিৎসা সহায়তার দাবি জানিয়েছেন দুর্গত এলাকার মানুষ।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডালিয়া ব্যারেজ পয়েন্টের ইনচার্জ নুরুল ইসলাম বলেন, ‘তিস্তা নদীর পানি বর্তমানে বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আজ সারাদিন পানির প্রবাহ স্থিতিশীল থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে বিকেলের দিকে পরিস্থিতি পরিবর্তন হতে পারে কি না, সেটা তখন বলা যাবে। আপাতত বৃষ্টিপাত না হলে নদ-নদীর পানি আরও কমবে এবং পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হয়ে উঠবে।’

জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, বন্যাদুর্গত এলাকাগুলোর জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা নিশ্চিত করতে কাজ করছে স্থানীয় প্রশাসন এবং দুর্গতদের মাঝে শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা হচ্ছে।