অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ, সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজে দুদক
সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে একের পর এক নিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)’এর অভিযান শুরু হয়েছে।
গতকাল সোমবার সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষের কার্যালয়ে এই অভিযান পরিচলিত হয়।
এ সময় দুদকের কর্মকর্তারা কলেজের প্রতিটি বিষয়ের আয় ব্যয়’এর হিসাবের ব্যাখা নেন।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। কলেজের একটি হায়েস গাড়ি রক্ষণাবেক্ষণ, চালকের বেতন ও তেল খরচ বাবদ এক বছরে প্রায় ৬২ লাখ টাকা ব্যয় দেখানো হয়েছে।
এছাড়া পরিবহন বাবদ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ২৫০ টাকা করে আদায় করে বছরে প্রায় ৬২ লাখ ৫০ হাজার টাকা তোলা হলেও কলেজে কোনো পরিবহন ব্যবস্থা নেই। এমনকি কলেজের ছাত্র সংসদসহ বিভিন্ন খাতে টাকা উত্তোলনেরও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে ।
সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজের অভিযুক্ত অধ্যক্ষ মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘একটি টাকাও নয়ছয় করা হয়নি। আমি প্রতিটি খরচ সিস্টেমের মধ্যে করেছি। একটি মহল শুরু থেকেই আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত শুরু করেছে।’
অভিযানের নেতৃত্বে থাকা দুদকের পাবনা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সাধন সূত্রধর বলেন, ‘পরিবহন খাতে শিক্ষার্থী বাবদ যে ২৫০ টাকা নেওয়া হয়, এটি শিক্ষার্থীদের স্বার্থে ব্যবহারের কোনো প্রমাণ পাইনি। অধ্যক্ষ শুধুমাত্র ব্যক্তিগতভাবে হাইস গাড়িটি ব্যবহার করছেন। আমরা প্রতিটি বিষয় পর্যালোচনা করছি। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন খাত থেকে উত্তোলিত টাকার রক্ষণাবেক্ষণের কাজে নিয়োজিত ব্যয় টাকার কোনো হিসাব তিনি এখন পর্যন্ত দিতে পারেননি। এছাড়া কলেজের বিভিন্ন আর্থিক অনিয়মের বিষয়গুলো ইতোমধ্যেই দুদকের দৃষ্টিগোচর হয়েছে।’
তার বিরুদ্ধে অভিযান চলমান থাকবে বলে জানান তিনি।