বিদেশে হামাস নেতৃত্বের ওপর আঘাত চালানোর ইঙ্গিত নেতানিয়াহুর
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, হামাস নেতাদের বিরুদ্ধে বিদেশে আরও হামলা চালানোর সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তিনি বলেন, ‘হামাসের নেতারা কোথায় আছেন তা বিবেচ্য নয়, তাদের কোনো নিরাপত্তা থাকবে না।’
গত সপ্তাহে কাতারে হামাস নেতাদের টার্গেট করে ইসরায়েলের হামলায় ছয়জন নিহত হন, তবে শীর্ষ নেতারা বেঁচে যান। এ ঘটনায় কাতারসহ আন্তর্জাতিক মহলে তীব্র সমালোচনা চলছে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও প্রকাশ্যে ক্ষোভ জানান।
জেরুজালেমে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে নেতানিয়াহু বলেন, ‘প্রতিটি দেশেরই সীমান্তের বাইরে আত্মরক্ষার অধিকার আছে।’ তিনি আরও দাবি করেন, ওই হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ভূমিকা ছিল না- ‘আমরাই করেছি, এটুকুই।’
সংবাদ সম্মেলনে রুবিও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র এখনো উপসাগরীয় মিত্রদের সঙ্গে দৃঢ় সম্পর্ক বজায় রেখেছে।’
আরও পড়ুন:
রোগীর পেটে জীবন্ত মাছি!
অন্যদিকে নেতানিয়াহু জানান, ইসরায়েলের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে ভালো মিত্র আর নেই।
এদিকে কাতারের প্রধানমন্ত্রী আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানিয়েছেন- দ্বৈত মানসিকতা বন্ধ করে ইসরায়েলকে শাস্তি দেওয়ার। আরব দেশগুলোর নেতারাও কাতারের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছেন।
পরে এক প্রশ্নে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, ‘নেতানিয়াহু আর কাতারে হামলা চালাবেন না।’
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস
প্রসঙ্গত, কাতারে যুক্তরাষ্ট্রের একটি বড় বিমানঘাঁটি রয়েছে। পাশাপাশি গাজা যুদ্ধ বন্ধে কূটনৈতিক প্রচেষ্টায়ও কাতার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। দেশটি ২০১২ সাল থেকে হামাসের রাজনৈতিক দপ্তরের আবাসস্থল হয়ে আছে এবং হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে পরোক্ষ আলোচনায় মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক কর্মকর্তার তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েল সফর শেষ করে রুবিও কাতারে যাবেন।
রবিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নেতানিয়াহু বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সম্পর্ক পশ্চিমা প্রাচীরের পাথরের মতোই টেকসই।’
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস
পরে তিনি ও রুবিও জেরুজালেমের পুরনো শহরে অবস্থিত ঐতিহাসিক সেই প্রাচীর পরিদর্শন করেন।