তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপরে, খুলল ৪৪ জলকপাট

লালমনিরহাট প্রতিনিধি
১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:১৯
শেয়ার :
তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপরে, খুলল ৪৪ জলকপাট

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও কয়েক দিনের টানা বৃষ্টির কারণে তিস্তার পানি বেড়ে বিপৎসীমার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে। এ কারণে পানি নিয়ন্ত্রণে রাখতে তিস্তা ব্যারাজের সবকটি তথা ৪৪টি জলকপাট খুলে দেওয়া হয়েছে।

আজ সোমবার সকাল ৬টায় লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা ডালিয়া পয়েন্টে পানির উচ্চতা রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ১৮ সেন্টিমিটার, যা বিপৎসীমার ৩ সেন্টিমিটার ওপরে। 

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র বলেছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় তিস্তার পানি আরও বাড়বে। এতে লালমনিরহাটসহ রংপুর, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী ও গাইবান্ধার নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।

পানি বাড়ার কারণে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম, হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ, আদিতমারী ও সদর উপজেলার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষ করে পাটগ্রামের গড্ডিমারী, দোয়ানী, ছয়আনী, সানিয়াজান, সিঙ্গামারি, সিন্দুর্না, হলদিবাড়ী ও ডাউয়াবাড়ী; কালীগঞ্জের ভোটমারী, শৈইলমারী ও নোহালী; আদিতমারীর মহিষখোচা, গোবর্ধন, কালমাটি, বাহাদুরপাড়া ও পলাশী এবং সদর উপজেলার ফলিমারী, খুনিয়াগাছ, কুলাঘাট, মোগলহাট, রাজপুর, বড়বাড়ী ও গোকুন্ডা ইউনিয়নে নিচু এলাকায় পানি প্রবেশ করেছে

গত আগস্ট মাসে তিন দফা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তিস্তাপাড়ের কৃষকরা। তলিয়ে গেছে তাদের বোনা আমনধান। পরে আবারও তারা জমিতে আমন চারা রোপণ করেছেন। তবে নতুন করে পানি বাড়লে সেই ফসলও ক্ষতির মুখে পড়বে বলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে কৃষক পরিবারগুলোর মধ্যে।

জানতে চাইলে তিস্তা ব্যারাজ কন্ট্রোল রুমের ইনচার্জ নুরুল ইসলাম বলেন, সোমবার সকাল ৬টায় ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদীতীরবর্তী মানুষকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।

এ বিষয়ে পাউবো লালমনিরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী শুণীল কুমার বলেন, ‘বৃষ্টি ও উজানের ঢলে তিস্তার পানি দ্রুত বাড়ছে। নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এজন্য নদীপাড়ের মানুষকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। আমরা পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করছি।’