উজানের ঢলে বেড়েছে তিস্তার পানি, বন্যার আশঙ্কা
লালমনিরহাটের তিস্তা নদীতে পানি আবারও বাড়তে শুরু করেছে। আজ রবিবার সকাল ৬টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত মাত্র ৯ ঘণ্টায় ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি ১৩ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে নদীটি ক্রমেই ফুঁসে উঠছে। ফলে তিস্তা অববাহিকার নিম্নাঞ্চলে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
বাংলাদেশের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টা তিস্তার পানি আরও বাড়তে পারে এবং যে কোনো সময় এটি বিপৎসীমা অতিক্রম করে সাধারণ বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে। এতে করে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি স্লুইচগেট খুলে রেখে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা নজরদারী করা শুরু করেছে।
আগামী ২৪ ঘণ্টা তিস্তার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে, তাই তিস্তা অববাহিকায় যে কোনসময় বিপৎসীমা অতিক্রম করে সাধারণ বন্যা দেখা দিতে পারে বলে সতর্ক করেছে বাংলাদেশের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। তিস্তা নদীর অববাহিকায় লালমনিরহাট এই পাঁচ উপজেলার নিন্মাঞ্চল ও চরাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
তিস্তা ব্যারাজ কন্ট্রোল রুমের ইনচার্জ নুরুল ইসলাম জানান, রবিবার দুপুর ৩টায় ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৯ সেন্টিমিটার নিচে ছিল। নদী তীরবর্তী জনগণকে সতর্ক থাকতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড লালমনিরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী শুনীল কুমার বলেন, ‘বৃষ্টি ও উজানের ঢলে তিস্তার পানি বাড়ছে। যেকোনো সময় তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে।’
তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে আবারও বন্যার আশঙ্কায় ভুগছে তিস্তাপাড়ের কৃষক পরিবারগুলো। গত আগস্টে তিন দফা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় আমন ধানের জমি। পানি নেমে গেলে কৃষকরা পুনরায় আমন চারা রোপণ করেন। এখন নতুন করে বন্যা হলে তাদের ফসল আবারও বিনষ্ট হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।