অনলাইন জুয়া বন্ধে আরও কঠোর হচ্ছে সরকার
সরকার সাইবার স্পেসে অনলাইন জুয়া, জালিয়াতি ও প্রতারণার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এ অপরাধে ব্যক্তি অনধিক দুই বছর কারাদণ্ডে অথবা অনধিক এক কোটি টাকা অর্থদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫ অনুযায়ী, অনলাইনে জুয়া খেলা, জুয়া খেলার জন্য পোর্টাল বা অ্যাপ তৈরি ও পরিচালনা, খেলায় অংশগ্রহণ বা উৎসাহ দেওয়ার মতো কার্যক্রমকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
আজ রবিবার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
এতে বলা হয়েছে, সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫-এ সাইবার স্পেসে জুয়া খেলা, জালিয়াতি এবং প্রতারণার সঙ্গে সম্পৃক্ত কার্যক্রমকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। অধ্যাদেশ অনুযায়ী- যদি কোনো ব্যক্তি অনলাইনে বা সাইবার স্পেসে জুয়া খেলার জন্য কোনো পোর্টাল, অ্যাপস বা ডিভাইস তৈরি করেন, পরিচালনা করেন, খেলায় অংশগ্রহণ করেন, খেলায় সহায়তা করেন, উৎসাহ প্রদান করেন বা উৎসাহ প্রদানের জন্য বিজ্ঞাপনে অংশ নেন এবং প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রচার বা বিজ্ঞাপিত করেন তবে সে ব্যক্তি সাইবার স্পেসে জুয়া খেলার অপরাধে অপরাধী হিসেবে পরিগণিত হবে। এ অপরাধে সে ব্যক্তি অনধিক দুই বছর কারাদণ্ডে অথবা অনধিক এক কোটি টাকা অর্থদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে।
পাশাপাশি যদি কোনো ব্যক্তি সাইবার স্পেস ব্যবহার করে জালিয়াতি করে তবে সেই ব্যক্তি অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত হবে। এক্ষেত্রে সে অনধিক দুই বছর কারাদণ্ডে অথবা অনধিক বিশ লাখ টাকা অর্থদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে।
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
এতে আরও বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি সাইবার স্পেস ব্যবহারের মাধ্যমে প্রতারণা করে কোনো অপরাধ সংগঠিত করে তবে সে ব্যক্তি অনধিক পাঁচ বছর কারাদণ্ডে বা পঞ্চাশ লাখ টাকা অর্থদণ্ডে বা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হবে। এরইমধ্যে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো এ বিষয়ে নজরদারি বাড়িয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।
এমন অবস্থায় অপরাধ দমন ও সাইবার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সবাইকে সচেতন থাকার আহ্বানও জানানো হয়েছে।