প্রেমের টানে বাংলাদেশে ভারতীয় তরুণী, বিয়ে না করেই ফিরে গেলেন
প্রেমের টানে কাঁটাতারের বেড়া পেরিয়ে বাংলাদেশে আসা ভারতীয় তরুণী রিংকি বেগমকে (২০) বিয়ে না করেই ফেরত পাঠানো হয়েছে ভারতে। গতকাল শনিবার দুপুরে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের কাছে তাকে হস্তান্তর করে বিজিবি ও ইমিগ্রেশন পুলিশ। এর আগে গত ৮ সেপ্টেম্বর ভোরে ওই তরুণী বাংলাদেশে প্রবেশ করেন বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, লালমনিরহাটের পাটগ্রাম পৌরসভার থানাপাড়ার বাসিন্দা রবি ভারতীয়র তরুণী রিংকি বেগমকে বিয়ে করার আশ্বাস দিয়ে দালালদের সহযোগিতায় বাংলাদেশে নিয়ে আসেন। কিন্তু বিয়ের সময় ঘনিয়ে আসতেই রবি লাপাত্তা হয়ে যান। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় তরুণীকে তার দূর সম্পর্কের চাচা শফিকুল ইসলাম বাপ্পির বাড়িতে রাখা হয়। সেখানে পাঁচ দিন অবস্থান করলেও রবির পরিবার তাকে স্বীকার করেনি। অভিযোগ রয়েছে, রবির বড় বোন শিখা ভয়ভীতি দেখিয়ে ভাইকে আড়ালে রাখেন।
জানা যায়, রিংকি বেগম ভারতের জলপাইগুড়ি জেলার মালবাজার থানার কড়াইক্রান্তি গ্রামের আবদুর রহিমের মেয়ে।
মেয়েকে ফেরত পাওয়ার পর আবদুর রহিম বলেন, ‘বিজিবি ও বিএসএফের সহযোগিতায় মেয়েকে পেয়ে আমি স্বস্তি পেয়েছি। তবে আমার মেয়েকে ফাঁসিয়েছে বাংলাদেশের রবি নামের ছেলেটি।’
বিষয়টি নিশ্চিত করে বুড়িমারী স্থলবন্দর চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন ইনচার্জ আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘আইনগত প্রক্রিয়া শেষে বিজিবি ও বিএসএফ সদস্যদের উপস্থিতিতে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের কাছে রিংকি বেগমকে হস্তান্তর করা হয়েছে।’
হস্তান্তরের সময় ভারতের ময়নাগুড়ি থানার ইনচার্জ সুবাল ঘোষ, রিংকির বাবা আবদুর রহিম, পাটগ্রাম থানার এসআই শাহজাহান, বুড়িমারী ইমিগ্রেশন ইনচার্জ আশরাফুল ইসলাম, বিজিবি বুড়িমারী বিওপি ক্যাম্প কমান্ডার হাফিজুল ইসলাম, স্থলবন্দর বিজিবি চেকপোস্ট কমান্ডার আনজারুল ইসলামসহ বিএসএফ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।ী