বোমাবর্ষণে কাঁপছে গাজা /
নিহত ও বাস্তুচ্যুতের সংখ্যা বড়ছে
ইসরায়েলি বাহিনী গাজা সিটিতে হামলা আরও জোরদার করেছে। তারা পরিকল্পিতভাবে শহরের ভবনগুলো গুঁড়িয়ে দিচ্ছে, যার মধ্যে রয়েছে জাতিসংঘ পরিচালিত স্কুল ও আশ্রয়কেন্দ্র। গত একদিনে নতুন করে হামলায় অন্তত ৪৯ জন নিহত হয়েছেন।
আল জাজিরার প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, শনিবার গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় এসব নিহতের ঘটনা ঘটেছে।
ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে, গাজায় লাগাতার বোমাবর্ষণে ৬ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নতুন করে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
সংস্থার মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল বলেন, ‘গাজার সিটির বাসিন্দারা এখন ক্রমাগত অবরোধ ও বোমাবর্ষণের মধ্যে কঠিন পরিস্থিতিতে বসবাস করছেন।’
আরও পড়ুন:
রোগীর পেটে জীবন্ত মাছি!
সূত্রে জানা গেছে, গাজার সিটিতে ইসরায়েলি বাহিনী পরিকল্পিতভাবে ধারাবাহিক হামলা চালাচ্ছে, যাতে নগর কেন্দ্র দখলের পথ পরিষ্কার করা যায়। ক্ষুধার্ত ও আতঙ্কিত ফিলিস্তিনিদের জীবন বাঁচাতে পালানোর নির্দেশ দিয়ে লিফলেটও ছড়ানো হয়েছে।
গাজার সিটি থেকে আল জাজিরার সাংবাদিক হানি মাহমুদ জানান, ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান প্রায় প্রতি ১০ থেকে ১৫ মিনিট পরপর আবাসিক ভবন ও সরকারি স্থাপনায় বোমা ফেলছে। অনেক সময় মানুষকে নিরাপদে সরে যাওয়ার পর্যাপ্ত সময়ও দেওয়া হচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে বাস্তুচ্যুত মানুষ শহরের পশ্চিম অংশে জড়ো হয়ে আছেন।’
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস
আল-শিফা হাসপাতালের প্রধান ডাঃ মুহাম্মদ আবু সালমিয়া বলেন, ‘বাসিন্দারা গাজা শহরের পূর্ব থেকে পশ্চিমে চলে যাচ্ছেন, কিন্তু খুব কম সংখ্যক লোকই দক্ষিণে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছেন।’
তিনি আরও জানান, যারা বাস্তুচ্যুত হয়ে এরই মধ্যে দক্ষিণে চলে গেছেন, তারা কোথাও থাকার জায়গা পাচ্ছেন না, কারণ আল-মাওয়াসি এলাকা সম্পূর্ণ ভরে গেছে। এছাড়া দেইর আল-বালাহও মানুষের চাপে গাদাগাদি হয়ে আছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আশ্রয় বা ন্যূনতম সেবা না পেয়ে অনেকে আবার গাজা সিটিতেই ফিরে আসছেন।’
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস
অন্যদিকে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক্স-এ দাবি করেছে, এ পর্যন্ত আড়াই লাখেরও বেশি মানুষ গাজার সবচেয়ে বড় নগরকেন্দ্র থেকে চলে গেছেন।