পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবিতে সম্মিলিত আন্দোলন করা হবে
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম (চরমোনাইর পীর) বলেছেন, ‘২৪ এর জুলাইতে ছাত্র-জনতা রক্ত ও জীবন দিয়েছে দেশ থেকে স্বৈরতন্ত্রকে চিরতরে উৎখাত করার জন্য। হাসিনার পলায়ন সেই চাওয়ার একটা অংশ। পরের কাজ ছিল সংবিধান, আইন ও রাজনৈতিক সংস্কার করে দেশে স্বৈরাচার সৃষ্টির সম্ভাব্য সকল পথ রুদ্ধ করা। কিন্তু অতিব দুঃখের সঙ্গে দেখছি, মৌলিক সংস্কার সম্পন্ন না করে, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি নিশ্চিত না করে এবং জুলাই সনদ বাস্তবায়ন না করেই যেনতেন উপায়ে নির্বাচন আয়োজন করে দেশকে আবারও পুরোনা অশুভ আবর্তে নিক্ষেপ করার বন্দোবস্ত করা হচ্ছে। এমন বাস্তবতায় স্বৈরাচার বিরোধী সকল রাজনৈতিক, সামাজিক শক্তি একত্রিত হয়ে যুগপৎ আন্দোলন গড়ে তোলা হবে ইনশাআল্লাহ।’
আজ শনিবার এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
রেজাউল করীম বলেন, ‘জুলাইয়ে নিহত পরিবারগুলোতে শোক এখনও বহমান। আহতদের ক্ষত এখনও শুকায় নাই। অন্ধ হয়ে যাওয়া তরুণরা এখনও হাতড়ে বেড়াচ্ছে। অথচ ফ্যাসিবাদের সঙ্গে জড়িতদের বিচার কাজে কোনো গতি নাই। ফ্যাসিবাদের প্রমাণিত দোসররা উদ্ধতভাবে রাজনীতিতে নামার ঘোষণা দিচ্ছে। এতো রক্ত ও জীবনের বিনিময়ে অর্জিত জুলাইয়ের সনদ নিয়ে নয়ছয় করা হচ্ছে। পুরোনো বন্দোবস্তে নির্বাচন আয়োজনের তোড়জোড় চলছে। সামগ্রিকভাবে প্রতিয়মান হচ্ছে, জুলাই এর আত্মত্যাগ ম্রিয়মান হতে চলছে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এটা হতে দিতে পারে না। জুলাইয়ে হাসিনার বিরুদ্ধে যে সাহসিকতা ও ঝুঁকি নিয়ে নেমেছিলাম, সেই প্রতিজ্ঞায় আবারও মাঠে অবস্থান নেবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।’
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর বলেন, ‘আমাদের দাবি সুস্পষ্ট। আমরা জুলাই সনদের বাস্তবায়ন চাই, এর আইনি ভিত্তি চাই। দ্রুততার সঙ্গে ফ্যাসিবাদের বিচার নিশ্চিত করতে চাই। ফ্যাসিবাদের দোসরদের রাজনীতিতে পুনর্বাসন বন্ধ করতে চাই। পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চাই।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের অবস্থান কোনো দলের বিরুদ্ধে না। বরং জুলাই অভ্যুত্থানের রক্ত ও জীবনের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকেই আমাদের এই অবস্থান। আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর, সোমবার সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে এই দাবির পক্ষে আমাদের কর্মসূচি তুলে ধরা হবে ইনশাআল্লাহ।’
