রংপুরে বজ্রপাতের আগুনে তুলার মিল পুড়ে ছাই
রংপুর মহানগরীর ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের নাছনিয়া এলাকায় ওমর আলী ফিলিং স্টেশনের বিপরীতে আর. কে. রোড সংলগ্ন এস এম তুলার মিলে বজ্রপাতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
আজ শনিবার বিকেল ৩টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট টানা ৩ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হলেও কারখানা বন্ধ থাকায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর ৩টার দিকে হঠাৎ বজ্রপাতের বিকট শব্দ শোনা যায়। কিছুক্ষণ পর তারা দেখতে পান এস এম তুলার মিলে আগুন লেগেছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স রংপুরের সিনিয়র স্টেশন অফিসার শওকত আলী জোয়ারদার বলেন, ‘বিকেল সোয়া ৩টার দিকে আমরা খবর পাই। ১৫ মিনিটের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। আগুনের তীব্রতা বেশি থাকায় আরও ২টি ইউনিট যোগ করতে হয়। টানা ৩ ঘণ্টার চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়।’
তিনি জানান, মালিকপক্ষের প্রাথমিক তথ্যানুযায়ী প্রায় ৩৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। তবে তদন্ত শেষে ক্ষতির সঠিক পরিমাণ নিশ্চিত যাবে।
অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে মিলের মালিক মোশারফ হোসেন অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে স্থানীয় এক চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দেন।
মোশারফ হোসেনের বাবা মোসলেম খান ও ভগ্নিপতি মানিক মিয়া জানান, এ অগ্নিকাণ্ডে মোশাররফ হোসেনের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তুলা, ঝুট, মেশিনারিজ ও হিসাবের যাবতীয় খাতা পত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। অপরদিকে তার বিভিন্ন এনজিও থেকে প্রায় ১২ লাখ টাকা এবং ব্যক্তিগতভাবে আরও ১০ লাখ টাকার ঋণ রয়েছে। তুলার মিলটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় মিলটি পুনরায় চালু করা এবং ঋণ পরিশোধ করা তার পক্ষে অসম্ভব।
অন্যদিকে একই সময়ে বজ্রপাতের কারণে পুরো শহরজুড়ে শতাধিক টেলিভিশন ও ফ্রিজ নষ্ট হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।