‘আ. লীগ শতশত কোটি টাকা লুট করে দেশকে দেউলিয়া করেছে’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, ‘আওয়ামী স্বৈরাচারের বিদায় হয়েছে, ছাত্র-জনতার অবশ্যই অবদান রয়েছে। বিএনপি দীর্ঘ ১৬ বছর আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে। আমাদের সকলের সম্মিলিত আন্দোলনের ফসলে আজ আমরা পুনরায় মুক্ত হয়েছি। ইনশাআল্লাহ সেই বিজয়কে সুংসহত করতে হলে আমাদের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ফিরিয়ে আনতে হবে।’
আজ শুক্রবার বিকেলে বিএনপির ৪৭ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নরসিংদীর পলাশের গজারিয়ায় ইউনিয়নের সাধুরবাজারে এক পথসভায় এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘যারা দেশ চালাবেন, জনগণের সঙ্গে তাদের জবাবদিহি করতে হবে। আওয়ামী লীগের সময় জবাবদিহিতা ও গণতন্ত্র ছিলনা বলেই তারা শত শত কোটি টাকা লুটপাট করে এদেশকে দেউলিয়া করে দিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি এমন একটি রাজনৈতিক দল, যারা সকলের সঙ্গে মিলেমিশে রাজনীতি করে। বিএনপি হিংসা, বিদ্বেষ, সংঘাত, সন্ত্রাস ও লুটপাটের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। কিন্তু অতীতে একটি সন্ত্রাসী দল এখানে আমাদের গণতান্ত্রিক রাজনীতি করতে দেয়নি। কিন্তু এমন পরিস্থিতিতে আমরা কখনো সংঘাতের বিপরীতে সংঘাত করি নাই। আমরা বলেছি, আমরা মানুষের বাক স্বাধীনতা ও মতামত প্রকাশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি। কিন্তু সেই প্রকাশ শান্তিপূর্ণ প্রক্রিয়ায় হতে হবে।’
বিএনপি এই নেতা বলেন, ‘শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউরের রহমানের কথা ছিল উৎপাদন ও উন্নয়নের রাজনীতির। ১৯৯১ সালে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে এই পলাশের উন্নয়ন করেছিলাম। আপনারা যদি সৎ ও সঠিক পথে থাকেন, ইনশাআল্লাহ আমরা পুনরায় আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে দেশের ৫ শত উপজেলার মধ্যে পলাশকে সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ উপজেলায় পরিণত করব এবং গজারিয়া ইউনিয়নকে সবচেয়ে উন্নত ইউনিয়নে পরিণত করব।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পলাশ উপজেলা বিএনপির সভাপতি এম এম ছাত্তার, সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর সাইফুল হক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দীন ভূইয়া মিল্টন, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক, গজারিয়ায় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আমজাদ হোসেন ভূইয়া শামিম, সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, ঘোড়াশাল পৌরসভার বিএনপির সভাপতি মো. আলম মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন চিশতিয়া, পলাশ উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক নাজমুল হোসেন ভূইয়া সোহেল, সদস্য সচিব মোস্তাফিজুর রহমান পাপন, পৌর ছাত্রদলের সদস্য সচিব আরিফুল ইসলাম আরিফ প্রমুখ।