গাজায় শুধু আতঙ্ক-আর্তনাদ
গাজার বাসিন্দারা এক ভয়াবহ ও নিরন্তর আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। ইসরায়েলি বাহিনীর অবিরাম বিমান হামলায় শহরের উঁচু উঁচু ভবনগুলো, যা একসময় বাসস্থান, অফিস ও ক্লিনিক হিসেবে ব্যবহৃত হতো, এখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। অসংখ্য পরিবার, যারা একসময় এসব বহুতল ভবনে বাস করত, এখন রাস্তায় আশ্রয় নিতে বাধ্য হচ্ছে। তাদের মধ্যে কেউ স্কুলে, কেউ তাঁবুতে আশ্রয় নিচ্ছে, আর বেশির ভাগেরই যাওয়ার কোনো ঠিকানা নেই।
আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এক স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ী বলেন, ‘আমি রাতে ঘুমাতে পারি না; প্রতি রাতেই ভাবি কী হবে।’ আরেক বাসিন্দা বলেন, ‘আমরা সারাক্ষণ ভয় আর দুশ্চিন্তার মধ্যে থাকি। বাস্তুচ্যুত হওয়ার আশঙ্কায় আমরা আমাদের কিছু জিনিস আগে থেকেই জরুরি ব্যাগে ভরে রাখি।’ যারা এখনও কোনোক্রমে টিকে থাকা ভবনে বাস করছেন, তারাও প্রতি মুহূর্তে এক অজানা আশঙ্কায় ভুগছেন। তারা জানেন, যে কোনো মুহূর্তে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর একটি ফোন কল বা একটি আকস্মিক হামলা তাদের সবকিছু কেড়ে নিতে পারে।
আরও পড়ুন:
রোগীর পেটে জীবন্ত মাছি!
জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থার একটি চিকিৎসাকেন্দ্রের কাছেও বোমা হামলা হয়েছে, যা হাজার হাজার মানুষকে সেবা দিত। এর ফলে সেখানে চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে। শরণার্থী শিবিরের একটি স্কুলও ধ্বংস হয়ে গেছে, যেখানে বহু মানুষ আশ্রয় নিয়েছিল। ক্রমাগত ড্রোন ও ভারী কামানের হামলায় গাজাবাসীর জীবন এক দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে। এই মানবিক সংকট সত্ত্বেও গাজায় ইসরায়েলি হামলার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে জোরালো পদক্ষেপের আশা দেখা যাচ্ছে। কাতারে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এক জরুরি আরব-ইসলামিক সম্মেলনে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কিছু সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে, যা এই অঞ্চলের পরিস্থিতি পরিবর্তন করতে পারে।
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস