চোর সন্দেহে আটক, পুলিশ হেফাজতে যুবকের মৃত্যু
গাজীপুরের টঙ্গী পশ্চিম থানায় পুলিশ হেফাজতে থাকা মো. রনি মিয়া (৩০) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তার মৃত্যু হয়। তার শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
রনি তিনি জেলার টাঙ্গাইল থানার মীরের ব্যাতকা গ্রামের কালু মিয়ার ছেলে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে চোর সন্দেহে দেওড়া এলাকা থেকে রনিকে আটক করে টঙ্গী পশ্চিম থানায় সোপর্দ করে স্থানীয়রা। ওই দিন সন্ধ্যা ৬টার দিকে হাজতের বাথরুমে অসুস্থ হয়ে পড়েন রনি। পরে তাকে টঙ্গীর শহিদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখান থেকে গাজীপুরের তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক রনিকে মৃত ঘোষণা করেন।
তবে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে থাকা অবস্থায় মুমূর্ষু রনির শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। পুলিশের দাবি, রনি মাদকাসক্ত। মাদকের টাকা জোগাড় করতে চুরিসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজে জড়িত ছিল।
এ বিষয়ে শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তিনি মারা যান। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
এর আগে শহিদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আশিষ চৌধুরী বলেন, ‘পুলিশ সদস্যরা এক ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। আমরা তার হৃৎস্পন্দন ও রক্তসঞ্চালন না পাওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্য হাসপাতালে প্রেরণ করেছি।’
এ বিষয়ে আজ শুক্রবার দুপুরে টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশিদ জানান, দুপুরে রনির স্ত্রীসহ কয়েকজন ব্যক্তি চোরাই মালামালসহ তাকে থানায় দিয়ে যায়। তবে কেউ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি। সন্ধ্যায় হাজতে অসুস্থ হলে চিকিৎসার জন্য রনিকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তার মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।
