বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১১ দিন ধরে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) কম্বাইন্ড (বি.এসসি ইন ভেট ও এএইচ) ডিগ্রির দাবিতে আন্দোলনকারীদের ওপর বহিরাগতদের হামলার পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অনির্দিষ্টকালের জন্য একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬টি অনুষদ ও একটি ইনস্টিটিউটে ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ হয়ে যায়। আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ১১ দিন ধরে সমস্ত একাডেমিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে আছে ।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ থাকার কারণে সেমিস্টার দীর্ঘ হচ্ছে। ফলে সেশন জটের আশঙ্কাও তৈরি হচ্ছে।
তবে প্রশাসন জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান সংকট সমাধানের জন্য কাজ চলমান রয়েছে। উদ্ভূত এই সমস্যা সমাধান হলেই একাডেমিক কার্যক্রম চালু করা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক কার্যক্রম শুরুর বিষয়ে আজ কথা হয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে।
আন্দোলনরত ছাত্র শিবলী সাদী বলেন, ‘বিশ্বাবদ্যালয় প্রশাসনের দাবি কম্বাইন্ড ডিগ্রির বিষয়ে একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত মেনে নিলে সিন্ডিকেট সভার মাধ্যমে সব অনুষদের ক্লাস-পরীক্ষা চালু করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবে। আমরা কিছু কিছু শর্ত সাপেক্ষে তা মেনে নিয়েছি। এখনও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সেশনজটের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। সেশন যদি দীর্ঘ হয়, তাহলে চাকরির ক্ষেত্রে অনেক হয়রানির শিকার হতে হবে।’
ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হক বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের প্রস্তাবনার বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা চলমান রয়েছে। তদন্ত কমিটিসহ বেশ কয়েকটি কমিটির কাজ চলছে। সবগুলো কমিটির সুপারিশ পেলে খুব দ্রুতই সিদ্ধান্ত জানানো হবে।’
বাকৃবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান সরকার বলেন, ‘প্রশাসন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের খোলার সিদ্ধান্ত জানালে কিভাবে ক্লাস ও পরীক্ষা শুরু করা যায়, শিক্ষকদের মধ্যে আলোচনা করা হবে। শিক্ষার্থীরা এখনও শিক্ষকদের বিচার চায়, তাহলে আমরা কিভাবে ক্লাস ও পরীক্ষা শুরু করব। আগামী রবিবার এই বিষয় নিয়ে শিক্ষক সমিতিতে আলোচনা হবে। আশা করি, শিগগিরই বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যকম চালুর বিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত আসবে।’