ডাকসু নির্বাচনের পর স্বতন্ত্র ভিপি প্রার্থী জালালের জামিন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের দুইদিন পর স্বতন্ত্র ভিপি (সহ-সভাপতি) প্রার্থী জালাল আহমদ জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার রুমমেটকে হত্যাচেষ্টার মামলায় ঢাকার অতিরিক্ত চীফ মেট্টোপলিটন মাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এই জামিনের আদেশ দেন।
আইনজীবী রফিকুল ইসলাম (হিমেল) জামিন শুনানিতে বলেন, ‘এ আসামি সম্পূর্ণ নির্দোষ। কথিত ঘটনার সময় আসামি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন না। আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর তার বিসিএস পরীক্ষা। পরীক্ষায় তিনি অংশগ্রহণ করবেন। যেকোনো শর্তে তার জামিনের প্রার্থনা করছি।’
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, জালাল আহমদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৩-২০১৪ সেশনের শিক্ষার্থী। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-২০১৯ সেশনের শিক্ষার্থী মো. রবিউল হক মিলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের ৪৬২ নম্বর রুমে থেকে লেখাপড়া করতেন। জালাল আহমদ সিনিয়র শিক্ষার্থী হওয়ায় বিভিন্ন সময়ে শিক্ষার্থী মো. রবিউল হককে হলের রুমের ভেতর নানাভাবে তাকে মারপিট করতেন এবং বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিতেন। গত ২৬ অগাস্ট রাত ১২টার দিকে রবিউল হক রুমে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত সাড়ে ১২টার দিকে জালাল আহমদ রুমের ভেতরে প্রবেশ করে বৈদ্যুতিক লাইট জ্বালান এবং চেয়ার টানাহেঁচড়া করে বিকট শব্দ করতে শুরু করেন, যার ফলে রবিউলের ঘুম ভেঙ্গে যায়। তিনি জালাল আহমেদকে বলেন, ভাই সকালে আমি লাইব্রেরীতে যাব। আপনি একটু আস্তে শব্দ করেন। এতে আসামি জালাল আহমদ ক্ষিপ্ত হয়ে রবিউলের সঙ্গে তর্কবির্তক শুরু করেন। তর্কবির্তকের এক পর্যায়ে জালাল আহমেদ রবিউলকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে কাঠের চেয়ার দিয়ে মাথায় আঘাত করেন। এতে তার কপালে ফুলে জখমপ্রাপ্ত হয়।
পরবর্তীতে জালাল আহমেদ রুমের ভেতরে থাকা পুরাতন টিউব লাইট দিয়ে রবিউলকে হত্যার উদ্দেশ্যে পুনরায় মাথা লক্ষ্য করে আঘাত করেন। তিনি মাথা সরিয়ে নিলে টিউব লাইটের আঘাত তার বুকের বাম পাশে লেগে টিউব লাইট ভেঙ্গে গুরুতর কাটা রক্তাক্ত জখম হয়। পরবর্তীতে অন্যান্য রুমের শিক্ষার্থীরা রবিউলকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান।
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
পরে জালালকে আটক করে পুলিশের সোপর্দ করা হয়। রুমমেটকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় হাজী মুহাম্মদ মুহসীন হলের প্রাধ্যক্ষ মো. সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় মামলা করেন। গত ২৭ অগাস্ট জামিন আবেদন নাকচ করে জালালকে কারাগারে পাঠানো হয়।