ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা
মাদারীপুরের কালকিনিতে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে মো. সাব্বির ফকির নামে এক নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠনের ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে ওই ছাত্রলীগ নেতাকে আসামি করে থানায় একটি ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেছেন।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন থানা পুলিশ।
এদিকে বরিশাল সেবাচিম হাসপাতালে ওই শিক্ষার্থীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। অপরদিকে এই ঘটনার পরে ওই ছাত্রলীগ নেতা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে রয়েছেন।
তবে ওই ছাত্রলীগ নেতা এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ায় অসহায় ভুক্তভোগী পরিবার ন্যায় বিচার পাবেন কিনা সে বিষয়ে নিয়ে শঙ্কিত রয়েছে ওই স্কুলছাত্রীর পরিবার।
মামলার ও ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কয়ারিয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা মো. জাকির ফকিরের ছেলে ছাত্রলীগ নেতা মো. সাব্বির ফকিরের সঙ্গে একই গ্রামের এক স্কুলছাত্রীর মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। এর সুবাদে ওই স্কুলছাত্রীকে ছাত্রলীগ নেতা সাব্বির ফকির বেশ কয়েকবার বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে নিয়ে যান। পরে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ওই স্কুলছাত্রীকে গত শনিবার রাতে বরিশালের মুলাদী উপজেলা বাটামারা ইউনিয়নের আলীমাবাদ গ্রামের একটি পরিত্যাক্ত ভিটায় নিয়ে ওই স্কুলছাত্রীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক তাকে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা ধর্ষণ করেন। এ সময় ওই স্কুলছাত্রীর ডাক-চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে ছাত্রলীগ নেতা সাব্বির ফকির দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে ওই ছাত্রলীগ নেতাকে আসামি করে মুলাদী থানায় একটি ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন।
দুলাল ফকির, শাওন ফকির ও এনামুলহকসহ বেশ কয়েকজন স্থানীয় সচেতন ব্যক্তি বলেন, ‘আমরা অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা সাব্বির ফকিরকে গ্রেপ্তার ও সঠিক বিচারের দাবি জানাই।’
মামলার বাদী ও ভুক্তভোগী ওই স্কুলছাত্রীর মা কান্না জড়িতকন্ঠে বলেন, ‘আমার অবুঝ মেয়ের সরলতার সুযোগ নিয়ে সাব্বির তার জীবন শেষ করে দিয়েছে। তাই আমি তার নামে মামলা করেছি। আমি ওর ফাঁসি চাই। কিন্তু বর্তমানে আমাকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে আসামি পক্ষের লোকজন। তাই আমি এখন আমার পরিবার নিয়ে ভয় ও আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি।’
অভিযুক্ত সাব্বির ফকির ও তার বাবা ইউপি সদস্য এবং আওয়ামী লীগ নেতা জাকির ফকিরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাদেরকে এলাকায় পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে কালকিনি থানার ওসি কেএম সোহেল রানা বলেন, ‘স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের বিষয়টি জানতে পেরে তাৎক্ষিনক আমি ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। তবে ঘটনাস্থল মুলাদী থানাধীন হওয়ায় এই মামলাটি ওই থানায় হয়েছে। আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’