চুরি করতে গিয়ে আটক গ্রামপুলিশ
ঘুমের মধ্যে চেতনা নাশক দ্রব্য স্প্রে করে চুরি করতে গিয়ে গ্রামপুলিশসহ দুইজনকে আটক করেছে গ্রামবাসী। পরে তাদের থানা পুলিশের হাতে তুলে দেন।
আজ বুধবার রংপুরের বদরগঞ্জে মিঠাপুকুর উপজেলার লোহানীপাড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ কচুয়াপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আটক মোনারুল ইসমাম (৩২) মিঠাপুকুর উপজেলার ১নং বড়বালা ইউনিয়নের গ্রামপুলিশ ও পূর্ব বড়বালা গ্রামের মোজাম্মেল হকের ছেলে। আর তার সহযোগী হাবিবুর রহমান একই গ্রামের বদিউজ্জামানের ছেলে।
জানা যায়, কচুয়াপাড়া গ্রামের নজরুলের বাড়িতে প্রতিদিনের ন্যায় রাতে খাওয়া দাওয়া করে পরিবারের সদস্যরা ঘুমিয়ে পড়েন। তাপমাত্রা বেশি থাকায় রাতেও ঘরের জানালা খোলা ছিল। এই সুযোগে গভীর রাতে সংবদ্ধ একটি চোর দল জানালা দিয়ে ঘুমন্ত লোকজনের ওপর চেতনানাশক স্প্রে করে। পরে ঘরে প্রবেশ করে টাকা-পয়সা, স্বর্ণালংকার, জামা-কাপড় ও গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। ওই সময় বাড়ির মালিক নজরুল মিয়া টের পেয়ে চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এসে তাদের ধাওয়া দিয়ে চোরাই মালামালসহ মোনারুল ইসমাম ও তার সহযোগী হাবিবুর রহমানকে আটক করে স্থানীয়রা। পরে পুলিশের হাতে তাদের তুলে দেন।
এ ঘটনায় বাড়ির মালিক নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে ৫ জনের নামে একটি চুরির মামলা দায়ের করেন।
আটক গ্রামপুলিশ মোনারুল ইসমাম বলেন, ‘দুই উপজেলার সীমান্তবর্তী একটি বাজারে তিনি গরমের কারণে আড্ডা দিচ্ছিলাম। কিন্তু মামলার বাদীর পরিবারের সঙ্গে পারিবারিক কলহ থাকায় তারা আমাকে পরিকল্পিতভাবে চুরির অপবাদ দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। আমি একজন গ্রামপুলিশ। আমার পক্ষে চুরি করা কখনো সম্ভব নয়।’
তবে মামলার বাদী নজরুল ইসলাম বলেন, ‘গ্রামপুলিশ মোনারুলের বিরুদ্ধে এলাকায় চুরি ও মাদক সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু তিনি গ্রামপুলিশ হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কেউ থানায় অভিযোগ করার সাহস পায়নি। আজ মোনারুলসহ তার সহযোগীকে হাবিবুরকে চোরাই মালামালসহ হাতেনাতে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয় গ্রামবাসী। মামলা তুলে নেওয়ার জন্য গ্রামপুলিশের অপরাধজগতের সিন্ডিকেটের সদস্যরা ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, ‘আটককৃতদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে সোপর্দ করা হয়েছে।’