কাঠমান্ডুতে বিক্ষোভের পর সেনা মোতায়েন, শহরে কারফিউ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪:২২
শেয়ার :
কাঠমান্ডুতে বিক্ষোভের পর সেনা মোতায়েন, শহরে কারফিউ

দুই দিনের সহিংস বিক্ষোভের পর নেপালের পরিস্থিতি আজ থমথমে। রাজধানী কাঠমান্ডুতে বিরাজ করছে রহস্যময় নিস্তব্ধতা। প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের পর কমে এসেছে বিক্ষোভ সংশ্লিষ্ট সহিংসতার ঘটনা। এদিকে আজ বুধবার সন্ধ্যা থেকে দেশব্যাপী কারফিউ জারির ঘোষণা দিয়েছে সেনাবাহিনী।

দু’দিন আগে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ দমন অভিযানের শুরুতে অন্তত ২২ জন নিহত হয়েছেন। গত দুই দশকের মধ্যে সবচেয়ে সহিংস বিক্ষোভের সময় পার্লামেন্ট ভবনে অগ্নিসংযোগ করার ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী কে পি অলি শর্মা পদত্যাগের ঘোষণা দেন।

নিউ ইয়র্ক টাইমস সূত্রে জানা গেছে, কিছু বিক্ষোভকারী এখনো সক্রিয় রয়েছেন। তবে বেশির ভাগকেই কারফিউ মানতে দেখা গেছে। রাতভর সেনা মোতায়েনের পর শহরের রাস্তা প্রায় খালি। পার্লামেন্ট ভবনের ধ্বংসাবশেষের মধ্য দিয়ে আকাশ দেখা যাচ্ছে, যা একদিন আগে বিক্ষোভকারীরা ভেঙে দিয়েছিল।

নেপালের সংবাদমাধ্যম কাঠমান্ডু পোস্ট ও বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, দেশটিতে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব নিয়েছে সেনাবাহিনী। ওই উদ্যোগের অংশ হিসেবে আজ বুধবার সন্ধ্যা থেকে নেপালে দেশব্যাপী কারফিউ জারির ঘোষণা দিয়েছে সেনাবাহিনী।

বিকেল ৫টার পর থেকে শুরু হয়ে আগামীকাল বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা পর্যন্ত এই কারফিউ প্রযোজ্য থাকবে। প্রয়োজনে এর মেয়াদ বাড়ানো হতে পারে।

সকাল থেকেই কাঠমান্ডুসহ নেপালের বিভিন্ন অংশে সেনাদের টহল দিতে দেখা গেছে। বিভিন্ন জায়গায় অস্থায়ী তল্লাশি চৌকি বসানো হয়েছে।

এক বিবৃতিতে সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ছাত্র-শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে কিছু স্বার্থান্বেষী মহলের অনুপ্রবেশ ঘটেছিল।

যার ফলে ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, সুনির্দিষ্ট মানুষ ও তাদের সহায়-সম্পদের ওপর হামলা, এমন কী, যৌন হয়রানির মতো ঘটনাও ঘটেছে বলে সেনাবাহিনী দাবি করেছে।

সেনাবাহিনী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, এ ধরনের ঘটনা অব্যাহত থাকলে শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে কারফিউর মেয়াদ বাড়ানো হবে।