সারাদেশের কোথাও মিছিল না করার নির্দেশ শিবির সভাপতির
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ভিপি পদে ছাত্রশিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট প্যানেলের প্রার্থী সাদিক কায়েম, জিএস পদে এস এম ফরহাদ এবং এজিএস পদে মহিউদ্দীন খান জয়ী হয়েছেন। অন্যদিকে ছাত্রদলসহ অন্যান্য প্যানেলের প্রার্থীদের ভরাডুবি হয়েছে।
তবে নিজেদের প্রার্থীরা বিজয়ী হলেও সারাদেশের কোথাও মিছিল না করতে নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিয়েছেন শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম। ডাকসু নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার আগে থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশে বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা অনেকটা মুখোমুখি অবস্থার করার প্রেক্ষাপটে তিনি এ নির্দেশনা দেন। যদিও এখন পর্যন্ত সংঘাতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
আজ বুধবার সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে জাহিদুল ইসলাম লিখেছেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহ মহান। অবশেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরাই বিজয়ী হলো।’
তিনি লেখেন, ‘আমরা সারাদেশের কোথাও কোনো মিছিল করব না। শুধু মহান রবের নিকট সিজদার মাধ্যমে শুকরিয়া আদায় করব। এই বিজয় আল্লাহর একান্ত দান। আমরা অহংকারী হবো না, সবার প্রতি উদার ও বিনয়ী থাকব।’
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
শিবির সভাপতি আরও লিখেছেন, ‘স্বপ্নের ক্যাম্পাস গড়ার পথযাত্রী, আমরা থামব না। প্রিয় মাতৃভূমি হবে সবার বাংলাদেশ।’
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রশিবিরের সাদিক কায়েম ১৪ হাজার ৪২ ভোট পেয়ে ভিপি পদে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদলের আবিদুল ইসলাম খান পেয়েছেন ৫ হাজার ৭০৮ ভোট।
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
আর স্বতন্ত্র প্রার্থী উমামা ফাতেমা পেয়েছেন ৩ হাজার ৩৮৯ ভোট পেয়েছেন। আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী শামীম হোসেন পেয়েছেন ৩ হাজার ৮৮৪ ভোট পেয়েছেন।
জিএস পদে ছাত্রশিবিরের নেতা এস এম ফরহাদ ১০ হাজার ৭৯৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল নেতা তানভীর বারী হামীম পেয়েছেন ৫ হাজার ২৮৩ ভোট। এছাড়া প্রতিরোধ পর্ষদের মেঘমল্লার বসু পেয়েছেন ৪ হাজার ৯৪৯ ভোট।
অন্যদিকে এজিএস পদে ছাত্রশিবিরের নেতা মুহা. মহিউদ্দীন খান ১১ হাজার ৭৭২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। ছাত্রদলের এজিএস প্রার্থী তানভীর আল হাদী মায়েদ পেয়েছেন ৫ হাজার ৬৪ ভোট।