নেপালের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রীকে পুড়িয়ে হত্যা
নেপালে জেন-জি’দের বিক্ষোভের মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ঝলানাথ খানালের স্ত্রী রাজ্যলক্ষ্মী চিত্রকর মারা গেছেন। রাজধানী কাঠমান্ডুতে তাদের বাসভবনে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় গুরুতর দগ্ধ হয়েছিলেন তিনি।
গতকাল মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।
পরিবারের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, চিত্রকরকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কির্তিপুর বার্ন হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
এদিকে চলমান বিক্ষোভে প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলির পর এবার পদত্যাগ করলেন প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পাউডেল।
এর আগে বিক্ষোভকারীরা প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবনে ঢুকে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং সেখান থেকে বিভিন্ন সামগ্রী লুট করে। এছাড়া কে পি শর্মার ব্যক্তিগত বাসভবনও ভাঙচুর করা হয়।
আরও পড়ুন:
রোগীর পেটে জীবন্ত মাছি!
টানা দ্বিতীয় দিনের মতো নেপালে সহিংস বিক্ষোভে কমপক্ষে ২০ জন নিহত ও বহু মানুষ আহত হয়েছেন। রাজধানীসহ বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্ষোভকারীরা পুলিশের সঙ্গে তীব্র সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
বিক্ষুব্ধ পরিস্থিতির মধ্যেই ধাওয়া ও মারধর করা হয় অর্থমন্ত্রী বিষ্ণু প্রসাদ পাউডেলকে।
এছাড়া নেপালি কংগ্রেসের সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবা এবং তার স্ত্রী অর্জু রানা দেউবাকেও তাদের বাসভবনে বিক্ষোভকারীরা মারধর করেছে বলে জানা গেছে।
এদিন পদত্যাগের পর কে পি শর্মা অলি ব্যক্তিগত বিমানে দুবাই যেতে পারেন বলে জানা গেছে। এর আগে অলি এক বিবৃতিতে বলেন, ‘পরিস্থিতি মূল্যায়ন ও সমাধান খুঁজে বের করতে তিনি সংশ্লিষ্ট সব দলের সঙ্গে সংলাপে রয়েছেন।’
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস
এদিকে সংবাদমাধ্যম নিউজ ১৮ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, নেপালের পার্লামেন্ট ভবন, সুপ্রিম কোর্ট ভবনসহ প্রশাসনিক এলাকার বেশ কয়েকটি ভবনে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা।
দ্য হিমালয়ান টাইমস জানিয়েছে, বিক্ষোভকারীরা পশ্চিম গেট ভেঙে প্রবেশ করে কাঠমান্ডুর সিংহ দরবার কমপ্লেক্সে এবং প্রধান ভবনে অগ্নিসংযোগ করে।
উল্লেখ্য, সিংহ দরবার নেপাল সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের কেন্দ্রীয় প্রশাসনিক কমপ্লেক্স। ২০১৫ সালের বিধ্বংসী ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর এটি সংস্কার করে পুনরায় চালু করা হয়েছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিক্ষোভকারীরা মূল গেট ভেঙে জোর করে ভেতরে প্রবেশ করে। পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যখন বিক্ষোভকারীরা পার্লামেন্ট ভবনে প্রবেশ করে আগুন ধরিয়ে দেয়। সানেপায় নেপালি কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় কার্যালয় এবং ললিতপুরে সিপিএন-ইউএমএল দলের কার্যালয়েও ভাঙচুর চালায় বিক্ষোভকারীরা।
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস
এ সময় বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক নেতা, এমনকি মন্ত্রিসভার সদস্যরাও আহত হন।