জাবিতে ভিসিসহ নির্বাচন কমিশনারদের ৭ ঘণ্টা অবরোধ
আগামীকাল অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচন। গতকাল মঙ্গলবার সম্প্রীতির ঐক্য প্যানেলের ভিপি প্রার্থী অমর্ত্য রায়ের প্রার্থীতা বাতিল করেছে চেম্বার জজ আদালত। অমর্ত্যের প্রার্থীতা ফেরানোর দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনের হল কক্ষে উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান ও নির্বাচন কমিশনারদের আটকে রাখা হয়।
গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১০টা থেকে ভোর সাড়ে ৫টা পর্যন্ত আটকে রাখেন অমর্ত্য রায়ের প্যানেলের প্রার্থী ও তার সমর্থকেরা। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের কাছে সময় চাইলে তারা নারাজ হন। সেখানেই প্রার্থীতা ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি তোলেন। এ সময় প্রশাসন অবরুদ্ধ অবস্থাতেই নিজেদের মধ্যে মিটিং করে বিষয়টির সুরাহা করার চেষ্টা করেন।
অবরোধকারীরা বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট কর্তৃক অমর্ত্য রায়ের প্রার্থীতা বাতিলের পর তার নাম বাদেই ব্যালট পেপার ছাপানো হয়ে গেছে- এমন যুক্তিতে চেম্বার জজ আদালতে আমর্ত্য রায়ের প্রার্থীতা বাতিল করা হয়। অথচ জাকসু নির্বাচন কমিশনার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন এখনো ব্যালট পেপার ছাপানো হয়নি।’
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
বিশ্ববিদ্যালয় পক্ষের আইনজীবী মিথ্যা তথ্যের মাধ্যমে অমর্ত্যের রায় বাতিল করেছেন দাবি করে অবরোধকারী ফারিয়া জামান নিকি বলেন, ‘ব্যালট পেপার ছাপাই হয়নি। অথচ এই উছিলায় প্রার্থীতা বাতিল করেছেন আদালত।’
এদিন এমতাবস্থায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে পরে। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা এসে প্রতিবাদ করেন। এক পর্যায়ে অবরোধ উঠিয়ে চলে যান তারা।
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও নির্বাচন কমিশনের সদস্য সচিব অধ্যাপক একেএম রাশিদুল আলম বলেন, ‘আমরা দিনরাত এক করে কাজ করে যাচ্ছি। অথচ আমাদেরকে এভাবে আটকে রেখেছে তারা। তারা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে। আদালতের রায় বদলানোর এখতিয়ার আমাদের নেই। তবুও আমাদের চাপ প্রয়োগ ও অসদাচরণ করা হয়েছে।’